Posts

উদাসী মন

 উদাসী মন মোহাম্মদ মুছা উদাসী মন ক্ষিপ্ত ভিষণ  আর সহে না নিরব শোষণ  ঘুর্নি হয়ে আসছে ধেয়ে  তোমার সুখের আঙ্গিনায়, প্রবল বেগে ছুড়েছে তেড়ে পাগলা হাওয়ায় নোঙর ছিঁড়ে ফুঁসছে আরো গাপটি মেরে তোমার দেয়া বেদনায়, উপড়ে মাটি ভাঙবে আকাশ এক পলকেই  করবে বিনাশ যাবে ক্ষয়ে নিবে বয়ে তোমার ক্ষত যন্ত্রনায়,

শরতের কামনা

 শরতের কামনা মোহাম্মদ মুছা  শুভ্র সাদা মেঘ  তুলেছে জেগে আবেগ, সাদা কাশফুলের সারি মন জুড়েছে ভারী, শরতের কথাই বলছি তাতেই তোমায় খুঁজছি, আসো কাশফুল ছুঁই ঘাসের বিছানায় শুই, গোধূলিলগ্নে হারিয়ে যায় তৃষিত মন জুড়ায়, শিউলু তুমুল সৌরভ হবো দুজন মগ্ন ভৈরব!

দায়ভার

 দায়ভার  মোহাম্মদ মুছা  বলো প্রভু ভূল কার তাহারে খুঁজিতে খুঁজিতে পথের বাঁকে আজ একাকার, গড়িয়েছে এতো বেলা নেমেছে শহর জুড়ে অন্ধকার, হুতোম প্যাঁচার ডাকে নীল জোছনার বাঁকে করছে মন উতাল, পাবো কোথায় তাকে হয়তো তারার ঝাঁকে হলাম আজি মাতাল, রাত যতোটা গভীর মন ছুটেছে সবির দম থেমেছে বারবার, ভাবনায় ডুবে নিবিড় বাঁধ ভেঙেছে সমীর পাল ছিঁড়েছে আমার, বলো প্রভু ভূল কার তাহারে বাসিতে বাসিতে আপনার জীবন আজ ছারখার পুড়েছে পুরোটা হৃদয় চারিদিকে কেবল দগ্ধ হাহাকার,  বলো প্রভু ভূল কার এতো মায়া তাহার লাগি সহিতে সহিতে মরি নির্বিকার নিঃস্ব আমি পুরোদমে তবুও তাহারে চাহি বারবার,  বলো প্রভু ভূল কার উদাসী মন বুঝেনা দায়ভার!

আসক্ত ভাবনা

 আসক্ত ভাবনা মোহাম্মদ মুছা  জীবনের পরতে পরতে পদচিহ্ন রেখে নিজেকে আড়াল করেছো, এই শহরে এমন কোন অলিগলি নেই তোমাকে খোঁজা হয়নি, তবুও থেমে নেই খুঁজছি আজো খুঁজছি, কদম, হাসনাহেনা, বেলি ঝরে পড়ুক তামাম হবে এই শহরের বাতাস ভেজা কোপার সুবাস লুকাবে কেমনে, আমি যে তীর আছি আমার পনে। হ্যামিলনের বাঁশিও আছে, যেদিন সব থেমে যাবে, তুলে দিবো সুর  বেলা শেষে সামলাবে কেমনে নিজেকে? তখন তোমায় নিয়ে ডুব দিবো অথৈই জলে, নীল সাগরে,

অভিমানী নন্দিনী

 অভিমানী নন্দিনী  মোহাম্মদ মুছা  ঘুরছে ঘড়ির কাটা,ঘুরে অবিরাম     জীবন বেলা পার হয়ে যায়        বলছি খানিক থাম, চন্দ্র সূর্য আসা যাওয়া দিব্যি পালা করে শখের বাগান শূন্য আজি রোজই পুষ্প ঝরে, নদীর বুকে জোয়ার ভাটা বদলায় জলের রূপ স্রোতে ভরা নদী আমার বুকে ভিষণ ক্ষোভ,  ঘুরছে ঘড়ির কাটা,ঘুরে অবিরাম      জীবন বেলা পার হয়ে যায়          বলছি খানিক থাম, অভিমানী নন্দিনী মোর আসবে ফিরে তাই থমকে আছে জীবন আমার  তারই অপেক্ষায়!

শ্রাবন বিষাদ

 শ্রাবনের বিষাদ মোহাম্মদ মুছা  মেঘের আড়াল সুনীল আকাশ শ্রাবন বুঝি করলো বিনাশ, ঝরো ঝরো ঝরছে অঝোরে মনটা উদাস বিরহ বিভোরে, জলে জলে সিক্ত শ্রাবন উতলা ঢেউয়ে লুটেছে কানন, বাঁধি কেমন বলো হৃদয়টারে খেল হারিয়ে যায় মুশলধারে, ঝরো ঝরো ঝরছে অঝোরে মনটা উদাস বিরহ বিভোরে, হৃদয় নদীর বাঁধ ভেঙে যায়  স্রোতের পরে স্রোতের হানায়, শ্রাবনের বিষাদ বিরহ জাগায় মনটা মাতাল পাগলা হাওয়ায়!

ভালোবাসার জয়গান

 ভালোবাসার জয়গান  মোহাম্মদ মুছা  মোগল গেলো তুর্কি গেলো ইংরেজ ও গেলো হটে আমার রাজ্যে তুমি কেবল উঠে রইলে লাটে!  বেনিয়াদের আনাগোনায় হলো শত বিবর্তন তুমিও এসো রয়ে গেলো হৃদয়ে আমার চিরন্তন, না মুছিলে হৃদয় হতে না সরিলে স্বপ্নে রাতে  ভাঙছো হৃদয় প্রতিদিনই নিঃস্ব আমি তাতে, জ্বলতে জ্বলতে কয়লা আমি তাইতো এখন বিপ্লবী সইবে না আর কোন আঘাত শোনরে আমার অপ্সরী, করবো আঘাত তোর সীমানায় কাঁদবে আকাশ ধ্বংসলীলায় অহংকারের প্রাচীর ভেঙে  মিশিয়ে দিবো সবি ধুলায়, আনবো তখন লুটিয়ে তোরে রাখবো বুকে জীবন ভরে কার কি সাহস ছিনিয়ে নিবে ধরবো দুহাত শক্ত করে, ভালোবাসার রটবে জয়গান দেখবে বিশ্ব জনে-জনে  করবো তোরে মহারানী আমার মনের সিংহাসনে।

ভালোবাসা অভিশাপ

 ভালবাসা অভিশাপ মোহাম্মদ মুছা  হেসে খেলে দিব্যি তুমি করছো বেলা পার ক্ষণে ক্ষণে ভোগছি আমি প্রেম-যাতনার বিমার, এমন তফাৎ কেনো বলো কারে দিবো দায়? ভালোবাসা নিঃস্ব করে এইতো বলবে সাঁই! স্বাদের জীবন তুচ্ছ করে বন্দী কারাগারে তোমায় আজো খুঁজে খুঁজে ডুবছি অন্ধকারে, যে নগরে সুখী তুমি তোমার মতো করে সেই নগরে দুঃখবিলাস আমার হৃদয় জুড়ে! তবুও আজো বলবে তুমি মুল্যহীন আমার ভাব তাহলে কি ভেবে নিবো ভালোবাসা শুধু অভিশাপ!

বসত মাটির ঘরে

 বসত মাটির ঘরে মোহাম্মদ মুছা  বিস্তৃত পৃথিবীতে মোদের কত কি কারবার, দালানকোঠা আর সাজ গোঁজে রাঙায় সংসার, নয়ন জুড়ে স্বপন বুক ভরা আশা কপালেরে দোষী আবার পায়না যখন দিশা, সুখ আর দুঃখ হাসি আর কান্না এইতো বুঝি জীবন নদীর অন্তিম মোহনা, যার যতো বাহাদুরি জীবনের এই মেলায় হাত দুটো শূন্য সময় যাওয়ার বেলায়, ভালো আর মন্দ সবাই যায় ফিরে মাটির গড়া দেহ বসত মাটির ঘরে, মনুষ্য দিয়ে বিধাতার এই কেমন খেলা তিনিই জানেন নিশ্চয়ই কেন সৃষ্টির এই লীলা!

মৃত্যুপুরী

 মৃত্যুপুরী মোহাম্মদ মুছা  পৃথিবী এখন মৃত্যুপুরী কেউ পাচ্ছে না ছাড় খাটছে না তো বাহাদুরি  পায়না কেহ পার। টাকা পয়সা খানা খড়ি ক্ষমতার দাপট শুন্য, সোনা রূপা ভরিভরি নিয়তির কাছে নগন্য।  রাজা-প্রজার সমান হাল আগে কিংবা পরে,  সারাবিশ্ব চুপসে নাকাল বুকটা কাঁপছে ডরে! তবুও মোরা উদাসীন কার বাঁধা কে মানে, হলাম আজি বিবেক হীন টনক নড়ে না প্রানে!

গুনহীন

 গুনহীন  মোহাম্মদ মুছা  গুনহীন চিরদিন পরাধীন রয়, তলে তলে বাজায় বীন অন্যরা যা কয়! মন তার অতি ক্ষীণ দোষ খুঁজে রয়, নিজ তার কাজ কী মনে নাহি রয়! তোষামোদে কাটে দিন নাহি লাজ হয়, নাহি বিবেক, জ্ঞানহীন আপনাতে বড় লয়! গুনহীন চিরদিন  পরহিংসু হয়, অন্যর অর্জিত জয়  তার নাহি সয়! গুনহীন চিরদিন  পরাধীন রয়!

প্রেম যমুনা

 প্রেম যমুনায় মোহাম্মদ মুছা  আজি আকাশ ভিষণ অভিমানী কাঁদছে কতো অঝোরে  হৃদয় আমার ডুব দিয়েছে  তোমার স্মৃতির গভীরে, তারই যতো বুকের জ্বালা মেটায়  কেঁদে কেঁদে সব যাতনা বয়ে যাবে  মিশে যাবে হ্রদে, তোমার স্মৃতি মেঘের মতো বুকে জমাট বাঁধে অভিমানী মোর নয়ন খানি আকাশের মতো কাঁদে, আষাঢ়ের মতো ঝরবে সেতো  ভাসবে তুমি জলোচ্ছ্বাসে এতো জল বইবে ঢল  খেল হারবে ঘূর্ণিঘ্রাসে,  কূল ছেড়ে তাই আমি সেথায় অপেক্ষাতে সব মোহনায় তোমার কোমল হাতটি ধরে ডুবে যাবো প্রেম যমুনায়!

পাওনা টা দাও আমার

পাওনা টা দাও আমার মোহাম্মদ মুছা  পাড়া গাঁয়ের হাবা ছেলটিও প্রেমে ঘোরে বিভোর, আমায় বেলায় তুলছো তুমি নিয়ম-নীতির সুর,  হৃদয়টা কি আমার গড়া?দোষো আমায় বারবার  দোষলে দোষো বিধাতারে,দায়টানয় কি তার?  কেন দিলো হৃদয় জুড়ে কোমল আবরণ  ঝলসে কেন দেয়না সেটি সূর্যের তপ্ত কিরন নদীর বুকের স্রোত দিয়েছে,তাতে হয়নি দায়! পাল ছিঁড়ে যায়,কূল ভেঙে যায় পাগলা ঘুর্নি হাওয়ায়, আকাশের বুকে চাঁদ,আরো আছে তারা উদাসী মন যখন তখন করে দিশেহারা, বসন্তে লাল কৃষ্ণচূড়া, বর্ষায় হলুদ কদম ফুল লাল হলুদের বাহারিতে মন হয়ে যায় ব্যকুল, প্রেম সৃষ্টি  স্বর্গ থেকে, দায়টা বলো কার?  দোষলে দোষো বিধাতারে, পাওনা টা দাও আমার! 

হৃদয় আমার বাঁধ ভেঙেছে

 হৃদয় আমার বাঁধ ভেঙেছে মোহাম্মদ মুছা  বুকেতে  প্রবল শ্বাস ছিলো বাঁশি জুড়ে সুর, দু’চোখেতে স্বপ্ন ছিলো ভাবনায় ছিলাম বিভোর, বাঁশিতে আর সুর ওঠেনা কে নিয়েছে লুটে চেপে রেখেছি বুকের ভিতর বলছি না তো হাঁটে! অচল এখন বুকের পাঁজর  শ্বাস চলেনা তাতে, বাঁশিটাতে জং ধরেছে  রেখেছি তারে পোঁতে, যে ছিল মোর স্বপ্ন আশা  ঘর বেঁধেছে দূরে  আমার ব্যাথা বুঝবে সে কী জ্বলছি কেন পোড়ে! জ্বলতে জ্বলতে কয়লা এখন সবি তাহার দায়  আরো বেশি জ্বলবো আমি সব পোড়াবো লাভায়! সর্ব বিশ্ব জ্বালিয়ে  দিবো লুকাবে কোথায় গৌরব?  আস্ত কেমন থাকো তুমি থাকবে কেমনে নীরব! হৃদয় আমার বাঁধ ভেঙেছে চুপসে আছে ক্ষোভে, যেখানে তুমি লুকিয়ে থাকো জ্বলবে অনল তাপে।

ভাঙা তরী

 ভাঙা তরী  মোহাম্মদ মুছা  এইপার ওপার উজাড় করি উজানে ভাসায় ভাঙা তরী, সুখ খুঁজিতে ঐপারে যাই যাত্রা কালে সবিতো দায়!  পথিক হয়ে অচিন পথে  ভ্রান্ত আমি আপন মতে আজো কেন পথ হারাই তাড়াই বিবেক আজো তাড়াই,  দিনের পর দিন প্রতিদিন সুখের নেশায় বাজাই বীন রাতের পরে রাত প্রতিরাত চোখে চোখে রাখি চাঁদ,  হঠাৎ আকাশ মেঘলা হলো চাঁদখানা গোটা গিলে খেলো জীবনটা গোল্লায় গেলো সর্বনাশে আমিও গেলাম আঁধারে মিশে, ভাঙা তরীর বিষাদ গল্প এইখানেতে শেষ নয় আঁধার এখন মিত্র আমার চোখের জলের বিনয়! কাব্যগ্রন্থঃ- দ্রোহের আগুন প্রকাশ কাল ঃ- অমর একুশে বই মেলা-২০২০, ঢাকা

বিশ্ব একদিন জাগবে

 বিশ্ব একদিন জাগবে মোহাম্মদ মুছা  মরুর বুকে বয়ছে রক্তের স্রোত বিশ্বজুড়ে হাহাকার বাড়ছে লোকের ক্রোড়, বিশ্ব নেতাদের মুখের বুলি থামে কি আর ইহুদীর গুলি? ঝরছে তাজা প্রান চলছে আগ্রাসন মানবতা লেজ গুটিয়ে গেলো নির্বাসন! দায় হয়েছে মাথা গোজার ঠাঁই  গোলাবারুদ যেথায় সেথায় করেছে পুড়ে ছাই, নরপশুদের এমন হত্যা মেনে য়ায়? মানবতার দূতর বুঝি গেলো আজি কোমায়! প্রতিহিংসার এমন আগুন আর কতদিন জ্বলবে? প্রতিশোধের শপথ নিয়ে বিশ্ব একদিন জাগবে।

দায়টা কার

 দায়টা কার মোহাম্মদ মুছা  অবশিষ্টাংশ নিয়ে ভালোই তো আছি, যেখানে সবি বিকৃতির কবলে উলোটপালোট হলো সেখানে তুমি বিবর্তনের বার্তা নিয়ে এলে, মাটি রক্ত শোষে নেয়,মুছে দেয় না, তোমার আবির্ভাব দুঃখ গোছেনি যাতনার রং বদলেছে শুধু, বুকের পাঁজর ভেঙে হৃদয়টা বেরুতে চায়, পৃথিবী কেন এতো নিষ্টুর! অনিষ্টকারী হেঁসে দুলে সন্ধ্যা রাঙ্গাই, গোধূলির আছড়ে পথ খুঁজে নীল আকাশটাকে বির্বন করে তোলে, নিশিতে যন্ত্রণার বিস্তার কেন বিস্তৃত হয় ; নগর জুড়ে এতো কোলাহল  তবুও কে যেন নেই, বুঝার অবকাশ নাই বললে কি হয় ? কি যে এমন ব্যর্থতা, বেদনার সকল ঝুলি একাই বয়তে হবে!  সবি যদি বিকৃতির আদলে গড়া আর বাকী রইলো কি? বলো, নতুবা অন্য জগতে চলো আমি তোমায় নদী চেনাবো, যেখানে কূল ভাঙে না, পাল ছিড়েখুঁড়ে অচল হয়না তরী, যদি তা না হয় বলো দায়টা কার?

নীল বেদনা

 নীল বেদনা  মোহাম্মদ মুছা  নিঃসঙ্গতার কোলষ ভেঙে  মুক্ত হাওয়ায় উড়তে চাই,  তোমার স্মৃতির বাঁধ সেজেছে  এখন আমি নিরুপায়!  উদাসী মন জানি কখন পিঞ্জর ভেঙে পালাই,  নীল বেদনা ক্ষন বুঝেনা যখন তখন পুড়াই।

ওরে শকুন

 ওরে শকুন মোহাম্মদ মুছা  শকুনে পাক ঝাপটায় শুকনো পাতা উড়ে  বকের ছানা দিশেহারা প্রান বাঁচাতে দৌড়ে, বাতাস আজ ভারী আকাশ লাজে কাঁদে  মাটির ভিষণ ক্ষোভ স্বাক্ষী ছোবল বদে, "ওরে শকুন" আকাশ কারো ঠিকানা নয় চাঁদ তারারাও ভাসে  মেঘের যত বাহাদুরি বজ্রপাতেই খষে,,

বসন্তটা যাক

 বসন্তটা যাক মোহাম্মদ মুছা  আজ আমি বিবর্ন নই উচ্ছ্বসিত বসন্তের ছোঁয়ায়, কোকিল ডাকে পলাশ ফুটেছে  বিমোহিত লাল কৃষ্ণ চুড়ায়, অন্তরে  জাগায় প্রেমে স্মৃতি সেই যবে যে এসেছিলো রঙ্গে রঙ্গিন ভাবনা সবি শিহরনে আকাশ মাঠি মিশেছিলো, ঘুমে আজি বিভোর নই স্বপ্নের ডানায় ভেসে বেড়ায় চারদিকে আজ এতো সুবাস নির্মলতায় মন যে জুড়ায়, বসন্ত "তো" আজ বসন্ত  মনের যত যতনা নিবৃত্তে থাক আবার না হয় ফিরে আছিস অন্তত  বসন্ত "টা" যাক।

প্রেমের যাঁতাকল

 প্রেমের যাঁতাকল  মোহাম্মদ মুছা তুমি আমায় পিশেছিলে প্রেমের যাতাঁকলে,  সেই যাতনা আর বয়বেনা মনটা কেঁদে বলে স্মৃতির ফ্রেমে গেলো থেমে আমার জীবন কাল,  জীবন তরী বয়ে মরি দুলছে ছেঁড়া পাল যুগের পরে যুগ পেরোবে তুমি রবে অন্তরে, অথৈজলে ঢেউয়ের কোলে ভেসে রইবো কালান্তরে।

চেতনা হলো বৃথা

 চেতনা হলো বৃথা মোহাম্মদ মুছা  যুগটা এখন নাইতো তেমন  গুনিজনের মান করা, হাতছানি দেয় আঁধার কালো সভ্যতা আজ দিশেহারা, অসৎ লোকের দাপট বিষন তারা'তো' আজ নেতা, তাইতো সমাজ পশ্চাতে যায় চেতনা হলো বৃথা, মুখে সবার ফোটে বুলি বদলে দেওয়ার স্লোগান তারাতো ভাই আসল দানব লুটে বনে বলীয়ান, এমন করে আর কতদিন আমজনতা ঘুমাবে,   আসলেই দিন বদলে দিতে কখন রুখে দাঁড়াবে ?

রক্ত যখন দিয়েছি

 রক্ত যখন দিয়েছি মোহাম্মদ মুছা  রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিবো, তবুও স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবো, এই বারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এই বারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম আজ এই স্বাধীন বাংলা তারই অবদান।  "তোমাদের যা কিছু আছে  তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক" তার অন্তরালে বাংলার মান রাখো, "প্রত্যেক গ্রাম-গঞ্জে,ইউনিয়নে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো " মুক্তিকামী সংগ্রামী জনতাকে ঐক্য গড়ে দিলো, মুজিবের বজ্রকন্ঠে স্বাধীনতার ডাক- গর্জে উঠলো বাঙ্গালী, বিশ্ব হতবাক, ঘুমন্ত নিরস্ত্র পাক-হায়েনাদের আক্রমন বীর বাঙ্গালী শপত ভীত নয় মোরা, তান্ডবে তান্ডবে রক্তের সাগরে পরিণত এই বাংলার মাটি, যায়নি বৃথা রক্তের স্রোত বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার দূত ।

তিলোত্তমা প্রিয়তমা

 তিলোত্তমা প্রিয়তমা মোহাম্মদ মুছা  তিলোত্তমা প্রিয়তমা বেঁধেছো বুঝি ঘর,  বিরহের এই মহারাজ্যে  আমি আজো যাযাবর।  চন্দ্র সুরুজ খসে পড়েছে  তারার মেলাও নাই, আমার আকাশ শূন্য আজি কে নেবে তার দায়? তিলোত্তমা করো ক্ষমা ভুলতে আজো পারিনি,  বুকের ভিতর জম ধরেছে স্বপ্ন তবুও মরেনি ;   তিলোত্তমা প্রিয়তমা সুখে তুমি থেকো আমি একদিন তারা হবো আঁধার রাতেই দেখো !

বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা

 বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা  মোহাম্মদ মুছা  পুরাতনকে বিদায় দিয়ে  করবো নতুন বরন হৈ-হুল্লোড়ে সাজ গোজিয়ে চলবে করতো মহারন, ভূলে গিয়ে হানাহানি  রইবো সবাই মিলেমিশে  নয়তো অতীত টানাটানি  খুঁজবো নতুন দিশে, এমন বানী সবার মুখে আজি মিলবে অহরহ   একটা দিনের ব্যবধানে  রাখবেনা কথা কেহ, বিধায় কিংবা বরণ বলি তাতে করি পন দিন বদলের মুখে কলি বদলায় নাতো মন ;  বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা  এর চাইতে বেশি কিছু নয় স্বাদের জীবন হয় জটিকা ভাবনাটা; ভাবনা হয়েই রয়!

অনুভূতি

 অনুভূতি  মোহাম্মদ মুছা  চাঁদ কি ছোঁয়া যায়? তবুও লোকের পিরীত-- চাঁদের সাথে কানাই কানাই  এই যদি হয় অনুভূতি  তোমার সাথে আমার পিরীত কারো বাঁধা কি মানায় ?  _____________________ পূর্নিমাতে চাঁদ হাসে  শিহরণ জাগে শিরাই শিরাই এই যদি হয় অনুভূতি  তোমার সাথে আমার পিরীত  লোকে কেন আড়চোখে চাই ? _________________________ চাঁদের সাথে রাতের পিরীত জোৎসায় আলোয় ভাসে তোমার সাথে আমার পিরীত স্বাক্ষী কেবল আমার সর্বনাশে !

ক্রান্তিকালের কাব্য

 ক্রান্তিকালের কাব্য  মোহাম্মদ মুছা  চোখের জল ঝরেছে তো অঝোরে কয় ফোঁটা হিসেবে করে দেখিনি, বুক ভিজেছে অন্তর শুকিয়েছে শ্যাওলা জমেছে চোখের পাতায় তবুওতো ভুলিনি।  কতো পথ হেঁটেছি প্রান্ত ছুঁইবো বলে যেথায় মিশেছে আকাশের সীমানা,  ফুরিয়েছে বেলা আঁধার করেছে তাড়া তবুও ছুটেছি একা আমি আনমনা।  নির্ঘুম কেটেছে প্রহর মাথার উপর বয়ে গেলো কতো পুর্নিমার চাঁদ, কেন তুমি আসোনি কেন ভালোবাসনি সইবো বলো কতো আর পরাগত ? আমার চারিপাশ জুড়ে আজ হাহাকার পুড়েছে কপাল হয়েছি ঝলসে ছারখার আজো কি হাসবে? আমার আছে কি আর বলো এইজগতে হারাবার !

ছুঁয়ে একটু দিলাম

 ছুঁয়ে একটু দিলাম  মোহাম্মদ মুছা  পৃথিবীটা নিস্তব্ধ ঘুমিয়ে আছে শহর নির্জনতায় পাশ কেটেছে প্রেম কুয়াশার বহর, চাঁদটা বুকে নেমে এলো ছুঁয়ে একটু দিলাম  আমার মাঝে আমিতো নাই হারিয়েতো গেলাম! রাত হেসেছে বাঁধ ভেঙেছে তোমার আমার তফাৎ, এতো কাছে এসেছিলে মন পুড়ছে নিখাদ! আবার কবে মরুর বুকে জলে বইবে স্রোত বুকের মাঝে জড়িয়ে নিবো, নিবো প্রতিশোধ,,

শিহরন জাগে

 শিহরন জাগে মোহাম্মদ মুছা  প্রেম আছে বলে তুমি এতো সুন্দর  ভালবাসার লাগিয়া তুমি প্রেম-প্রিয়সী, তাইতো বুঝি কাঁদে আজি অন্তর  হলো না কেন ভালোবাসা-বাসি? অনুভূতি আছে বলে শিহরন জাগে ছুঁতে তোমায় মন করে উচাটন, দূরে তুমি ভাবতে বিচলিত লাগে সয়ে থাকা যায় বলো কতক্ষণ?  প্রেম আছে বলে জাগ্রত স্মৃতির পাতায় সেই স্মৃতির আজ কেবল কাঁদায়, জীবনের হিসাব গেলো আজ বৃথাই আঁধারে আলো মিশে গেলো বিষন্নতায়!

চেতনা আমার লুট হয়েছে

 চেতনা আমার লুট হয়েছে  মোহাম্মদ মুছা চেতনা আমার উইপোকা খাই মন্দ লোকের আনাগোনায়  সত্যের কোথাও ঠাঁই আজি নাই,  সমাজ জিম্মি চাটুকারিতায়, চেতনা আমার গুনে ধরেছে শ্যাওলা জমেছে ভাবনায় অঙ্গিকার আমার হেলছে দোলছে এই কোন পরিত্যাক্ত আঙ্গিনায়?  নীতির দন্ড খন্ড খন্ড  আক্কেল গুমোড় আঘাতে  মানব বিবেক লন্ড-ভন্ড আপন শিরটা নোয়াতে!  শষ্য ক্ষেতে ভূত নেমেছে লাভ হবে কি কাকতাড়ুয়ায়? চেতনা আমার লুট হয়েছে  কাটমোল্লা-দের ফতোয়ায়! চেতনা আমার জম ধরেছে সম্প্রীতি আজ নির্বাসনে মৌলবাদরা জোট বেঁধেছে  মন ভেঙ্গেছে প্রহসনে ।

সর্বনাশ

 সর্বনাশ মোহাম্মদ মুছা দালান কোটার চিপায় গলি ইট পাথরের রঙ্গিন তুলি, কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ, কোথায় গেলো সরষের অলি খোঁজে না পায় পাকপাকালি এই শহরই করলো সবি গ্রাস হলো সর্বনাশ।  সবুজ শ্যামল কত কোমল রাত পোহালেই হতাম বিমল কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ,  কোথায় গেলো জোনাকির দল  সবুজ বাতির আঁধার ঝলমল এই শহরই করলো সবি গ্রাস হলো সর্বনাশ।  গায় না মাঝি জারি সারি নদীর বুকে বায়না তরী কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ, পানকৌড়িদেট ডুব গেলো কই রোদ্র ঝলকের জলের অথৈই এই শহরই করলো সবি গ্রাস  হলো সর্বনাশ।  কাব্যগ্রন্থঃ-দ্রোহের আগুন  প্রকাশ কালঃ- অমর একুশে বই মেলা,২০২০

রহস্যের আজব কারিগর

 রহস্যের আজব কারিগর  মোহাম্মদ মুছা  মানুষ রহস্যের আজব কারিগর  কেহ বাঁধে ঘর আবার কেহ যাযাবর, গড়ে তোলে তাজমহল প্রেমের ঘোরে  নির্বাসনে যাই কেহ বিরহ বিভোরে, আকাশে উড়ে বেড়াই দিগন্তের সন্ধানে  ফুল ফুটাই গড়ে বাগান প্রস্তর উদ্যানে, অথৈই জলে ভাসে বৈটা হাতে তরী প্রকৃতির বুক ছিঁড়ে সমতল করে গিরি, অচিনকে সুচিন করে মাটি করে উর্বর  আবার কেহ উজাড় করে হয়ে বর্বর, যদিওবা হরেক ভাষা হরেক রকম জাত তবুও মানুষ সৃষ্টির সেরা আশরাফুল মাকলুকাত।

স্বপ্নের বিনাশ

 স্বপ্নের বিনাশ মোহাম্মদ মুছা  নিঝুম রাতে বসে মেলায়,জীবনের হিসাব নিকাশ কার লাগিয়া হলো বুঝি সপ্নগুলোর বিনাশ, কে হেরেছে কে জিতছে কার হয়েছে ছারখার  অথৈই জলে ভেসে ভেসে কে হয়েছে কূল পাড়?  দুজন যদি একই মাটির গড়া, একই বিধাতার  তফাত কেন তবু বলো জীবন নদীর পারাপার!  আমার আছে যেটুকু দায় কাঁধে তুলে নিলাম তোমার বেলায় আমি সবি, বাদ'ই না হয় দিলাম, তুমি থাকো মহাসুখে আমার এইতো চাওয়া  ভুলে যেতে চাইবো আমি ভালোবাসার মায়া, আমি আজি বিদায় নিলাম কেবল শুন্য হাতে চাঁদ হয়ে আর আসিও না, জোৎসনা ভরা রাতে।

দ্রোহের আগুন

 দ্রোহের আগুন  মোহাম্মদ মুছা  দ্রোহের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে নিঃস্ব হয়েছি পোড়েছে দেহ,পোড়েছে মন,পোড়েছে আরো কত কি? আশার আলো দগ্ধ হয়ে স্বপ্ন পোড়ে ধোঁয়া হলো  শূন্য আকাশে উড়িতে উড়িতে মেঘের রুপ নিলো, আকাশ বলে - আমি দ্রোহি বজ্রতে বুক কাঁপায়  বাতাস ও তাই বলে ভাই প্রবল বেগে সবি উড়াই,  নদী  - বলে আমি দ্রোহি তরঙ্গে কূল ভাঙ্গায় পাহাড় বলে আমি কিসের কম, এসে দেখ চূড়ায়।  বৃষ্টি বলে - আমি দ্রোহি মেঘের মুক্তি চাই.....  রুদ্র ঝলমল রংধনু বাহারি রঙে আকাশ রাঙায়,  চারিদিকে এতো দ্রোহ বসে থাকা কি ঘরে যায়?  দ্রোহের জগত বেছে নিলাম এই তো আমার দায়  দ্রোহের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে নিঃস্ব হয়েছি  জ্বলন্ত লাভা তবুও পোড়ায়,জ্বলতে বাকি রইলো কি?  কাব্যগ্রন্থ - দ্রোহের আগুন প্রকাশ কাল - ২০২০,অমর একুশে বই মেলা

চাঁদটা দিবো ছুঁয়ে

 চাঁদটা দিবো ছুঁয়ে  মোহাম্মদ মুছা  চেনা পথে অচিন হয়ে  এখন আমি বৈরাগী, রঙ্গিন জীবন পানশে হলো রাতের সাথেই মিতালি, বনফুলের স্নিগ্ধ সুবাস যখন   তপ্ত হাওয়ায় ভাসে মনটা আমার উদাস এখন ক্ষিপ্ত; অনল রোষে, উদাসী মন চাই যে এমন "নদী যখন থেমে গেলো  পাহাড় পড়ুক নুয়ে  আকাশটা আজ ভেঙ্গে পড়ুক চাঁদটা দেবো ছুঁয়ে"

শখের নদী

 শখের নদী  মোহাম্মদ মুছা আমার কেয়ায় পাল উড়েনা বাতাসে নাই গতি  নদী আমার শুকিয়ে গেছে  খরা আমার সতি, শখের নদী দুঃখ এখন  বৈঠা হাতে কাঁদি কোন মোহনায় স্রোতের বাঁধা মন রাখিলাম বাঁধি, আকাশ গর্জে মেঘও দৌড়ে  বইবে বুঝি জল বেলা গেলো আশায় আশায়  এইটা কেমন ছল !  বুকের মাঝে যে মোহনা  বইতে থাকে ঢল কারো এইটা নয় করুনা  এটা ; আমারই চোখের জল।

বেলকুনি

 বেলকুনি  মোহাম্মদ মুছা  ইট পাথরের শহরে ব্যস্থ মানুষের কোলাহল শুনি ছুটছে সবাই আপন কাজে, থাকি আমি আনমনে সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি , আকাশ দেখি মেঘও দেখি রাত পোহালে চাঁদের আলোয় তারা গুনি এই পাশ ছুটি ও পাশ ছুটি বেহুলা বেঁধে রাখি সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি ,  পাহাড় চূড়ায় রোদ্র ঝলক দেখতে লাগে পরশ মনি মন ছুটে যা ঐ যে চূড়ায় মন চাইলে কি যায় তা ছোঁয়ায়, সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  শীত সকালপ আঁচল বিছায়, ভেজা চুলে কোপা খুলে, শীতল প্রানে মৃদু রোদ্রে তপ্ত লাগায়,  সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  অলস দুপুর করে ব্যকুল বসন্ত যখন পাশ কেটে যায়, কালো কোকিল সুর তোলে যায় কৃঞ্চকলির নয়ন জুড়ায় সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  শ্রাবন মেঘে বাদল ছুটে,তোড়ায় তোড়ায় কদম ফুটে , ভেজা শালিক মন হতে চায়,দুহাত মেলে জল ছুঁতে চায় সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  উদাসী মন ক্ষিপ্ত যখন কেউ থাকেনা সঙ্গী তখন বেলকুনিটা লোহার কপাট ভুলেতো যাই এ মন !

স্মৃতিতে অম্লান

 স্মৃতিতে অম্লান  মোহাম্মদ মুছা  তিমির পোহাতেই নিস্তব্ধতা ঘ্রাস করে নিলো স্বাধীন বাংলার মাটি,  আকাশে,বাতাসে বারুদের গন্ধ, কি জানি কি জানান দিচ্ছিলো, ঘাতকের বুলেট পিতার বুক ভেদ করে মেজেতে পড়েছিলো, অতঃপর হিমালয় ধসে পড়েছে ; আক্ষেপে  মৃত্তিকার  বুক ফাটে,পত্র-পল্লব স্থির,            থেমে গেলো নদীর স্রোত সাগরের ঢেউ,  সেই দিন জাগেনি পাখপাখালি ; গুনে ধরা বিকৃত মস্তিষ্কের অমানুষ গুলো                   কলংকের কালিমার দাগ লেপে দিলো বাঙ্গালী জাতির অবয়বে, মৃত্যু হলো স্বপ্নের, সোনার বাংলা গেলো নির্বাসনে,   অদ্ভুত জাতি আমরা মীর জাফরের মনসনদে নিকৃষ্ট লুলোপ দৃষ্টি পলাশীর প্রান্তর পেরিয়ে               ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে ছুঁয়েছে, আরো একটি কালো অধ্যায়! কাপুরষ, ঘাতক, আর মীর জাফর যাই বলিনা কেন ওরা তারাই, ওরা অপশক্তি, যাদের নীল ষড়যন্ত্র ভেদ করে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অর্জিত হলো আজকের এই লাল- সবুজের পতাকা, এখানেই তারা পরাজিত আর প্রতিশোধের বলী...

বিলাসী তোমার মন

 #বিলাসী তোমার মন    মোহাম্মদ মুছা  এক রাজ্যে যাচ্ছো তুমি, আমায় কেবল শাসিয়ে  অন্য রাজ্যে আকঁছি তোমায়,মনের মাধুরী মিশিয়ে,   আমার রাজ্য আঁধার যখন তোমার রাজ্যে ভোর আমি শুনি ঝিঁঝি ডাকে তুমি শুনো স্নিগ্ধ কোমল সুর, তোমার রাজ্যে অলির ছুটাছুটি মধু আহরনে  আমার রাজ্যে ফুল ফোটেনা মৃত্তিকার বিকিরণে, তোমার রাজ্যে কেয়া ভাসে ভরা জলে থৈথৈ  আমার চারপাশ মরুভূমি এতো জল গেল কই? তোমার রাজ্যে চাঁদ হাসে নিশিতে জোৎসার ঢল, আমার বেলায় নিশ্প্রভ সবি আখির কোনে জল, তুমিতো হাসবে, দোলবে বিলাসী তোমার মন  সস্তা আমার অনুভূতি জাগাবে তোমায় কেমন!  আমি তুমি এতো তফাত কি দিয়ে তা গোচায় মনটা আমার বন্দি তাইতো নিয়ম-নীতির খাঁচায় ;

ভাবনা শত জটিল হলেও

ভাবনা শত জটিল হলেও মোহাম্মদ মুছা #বুকের ভিতর খাদঁ হয়েছে রাতটা অনেক গভীর হলেও চোখ দুটো ঠিক তীর রয়েছে, বুকে শত স্বপ্নের আনাগোনা রাতের বেলা হতাশ হলেও ভোরের আলো করবে আনমনা?  একা একা আকাঁ বাকাঁ ভাবনা শত জটিল হলেও সেই পথের ধুর হল দেখা, যে পথে মোর আমি বিভোর শত বাধাঁ কাটাঁ হলেও আধাঁর রবে; হবেনা কি ভোর ?

দগ্ধ হৃদয়

#দগ্ধ হৃদয় মোহাম্মদ মুছা স্বপ্ন আমার পাহাড় সম এই জগতে আমি এক অধম, হৃদয়তে ভালবাসার ছড়াছড়ি একটু না হয় তা বাড়াবাড়ি তাই বলে তুই হায় ভাবলি কয়লার ছাই!  বাতাসে তা উড়িয়ে দিবি মন যা চায় তা ভেবে নিবি? মনটা আমার কেঁদে বলে জ্বলবিরে তুই প্রেম অনলে,  না ; না, তা নয় অভিশাপ  দগ্ধ হৃদয় কেমন রয় নিরুত্তাপ

খোঁজ আমায় খোঁজ

#খোঁজ আমায় খোঁজ  মোহাম্মদ মুছা  থাক, ঐটুকুতে থাক  যেখান থেকে স্বপ্ন আমায় "জাগো" বলে দিলো ডাক ; থাক, ঐটুকুতে থাক  ‌সত্যি বলছি  একটুখানি করিনিতো রাগ,  রাখ,ঐইখানেতে রাখ আমায় নিয়ে ভাবনা যত,  মনের মাঝে লুকানো ক্ষত মেঘের আড়ালে রাখ,  ভালোবাসা শুয়ার হবে খুঁজে আমায় কে বা দিবে?  ঐ আশাতে থাক;ঐ আশাতে থাক আমি এখন অন্য ভবে বসত গড়েছি এইতো ভেবে চাঁদ;তারা সব চিবিয়ে খাবো আকাশ; হাতের মুঠোয় নিবো!  তুমি যা চাও সবি দিবো শিশির কনায় পদ্মায় ঝুলবো,  আধাঁর আলো তফাৎ বুঝে নিবে কি আমায় ; তুমি খুঁজে ?  তাইতো আমি এখন অচিন  উত্তর,দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম  দিক পাল্টে যায় রোজ খোঁজ আমায় খোঁজ,

শেষ বেলাতে

#শেষ বেলাতে মোহাম্মদ মুছা  আমি আর স্বপ্ন বসত যোজন দূরে ছাল খানা ফোটো তাই জোছনা উকিঁ দেয় ঘরে, হাসিটা তোর ছিল, অনুভব আমার দায় তাই কাঁদে নিলাম একান্ত আপনার; ঝড়-তুফান, সুনামি-সিড়র ভাঙ্গেনি ঘর তুমি তোমার অহমিকায় লন্ড-ভন্ড আমার অন্তর; ঘর পর দরে দর আপন কারাগার ভালো লাগাতে ভালোবাসাতে সব চারকার আমি যদি ভূল ; তোমায় চাওয়াতে গোধুলির কেন সংজ্ঞা শেষ বেলাতে  ভালো থাকার মিছিলে আছি ছদ্মবেশে বিষাক্ত নীল বেদনা দেখেনা কেহ আবৃত খোলসে,

মনটা কেন বুকে

মনটা কেন বুকে #মোহাম্মদ মুছা  তোমার কি অনুভূতি নাইকো আমার জানা  তোমায় একটু ছুঁয়ে দিতে মন ধরেছে বায়না, মনটাকে কি আর লাগাম ধরার যায় কখন কিযে চেয়ে বসে আগাম বুঝা দায়! মনকে বলি আমি মানুষ সমাজেতে বাস যেন তেন বায়না ধরে করিসনা মোর সর্বনাশ, মনটা আমার অকাল মুন্ডু সমাজ নাহি মানে সব বুলিয়ে আমায় কেবল তোমার পানে টানে, আমার আমি কেমনে থাকি মনটাকে বেঁধে রেখে?  মনটা কেন সৃষ্টিকর্তা দিলো দেহের বুকে,

এক মতবাদ

এক মতবাদ                    মোহাম্মদ মুছা  আখির কোণে জলের জমাট রূদ্রর কাছে শুকিয়ে নিবো, একলা একা পাহাড় চুড়ায়  যাতনা সব ছিটিয়ে দিবো, ভাবনা যত শত শত লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে নিবো, আমার আমি যত দামী আকাঙ্খা সব ছিবিয়ে খাবো, সুখে নাকি দূঃখে আছি দুইয়ের মাঝে তফাৎ গড়ে কাদঁবো কেন মিছেমিছি ? কারো কত আশার বানী ধুয়ে মুছে বুকের গ্লানি,  দাঁড়িয়েছি স্রোতের প্রতিকূলে রুখেছি  ঢেউ শক্ত মনোবলে,  ধনী গরীব ভাঙ্গবো তফাৎ  করবো বিলীন ঘাত-প্রতিঘাত,  গড়বো সুখের বিশাল প্রসাদ  সাদা কালো এক মতবাদ,  মানুষ মোরা মানব হবো গাইবো সুরে মানবতায় জিন্দাবাদ।  "ঘোর কাটিলো ; আলোর দেখা পেতেই আপন গায়ে চিমটি কেটে বুঝলাম,এবং ভ্রুক্ষেপে ভাবিলাম নিশিতে কি আবোল তাবোল ভাবলাম" "জঠিল কঠিন এই ভুবনে কি আসে যায় মোর স্বপ্নে!,,

শেষ বেলাতে

শেষ বেলাতে মোহাম্মদ মুছা  আমি আর স্বপ্ন বসত যোজন দূরে ছাল খানা ফোটো তাই জোছনা উকিঁ দেয় ঘরে, হাসিটা তোর ছিল, অনুভব আমার দায় তাই কাঁদে নিলাম একান্ত আপনার; ঝড়-তুফান, সুনামি-সিড়র ভাঙ্গেনি ঘর তুমি তোমার অহমিকায় লন্ড-ভন্ড আমার অন্তর; ঘর পর দরে দর আপন কারাগার ভালো লাগাতে ভালোবাসাতে সব চারকার আমি যদি ভূল ; তোমায় চাওয়াতে গোধুলির কেন সংজ্ঞা শেষ বেলাতে  ভালো থাকার মিছিলে আছি ছদ্মবেশে বিষাক্ত নীল বেদনা দেখেনা কেহ আবৃত খোলসে,

হাবুডুবু খাই!

#হাবুডুবু খাই!  মোহাম্মদ মুছা গাঁ গেরামের বর্নচোরা  রাজনীতিতে শের আলী  টাক লাগিয়ে রক্তচুষে মুখে শত নীতির বুলি, আমজনতার গাড়ে চেপে ফেঁপে ফুলাই নাড়িভুড়ি  যা পাঁচে পায় সব গিলে খাই বাদ যায়না ভাই খানা খড়ি, চষে বেড়ায় এপার ওপার  সবার নাকের ডগায় অনেকে আবার চুপটি থাকে বেচা-কেনা টাকায়, কোন একটা রাঘববোয়াল আটকা পড়লে জালে তবে রে ভাই টনক নড়ে সুর মেলায় সব তালে, কে বানাইলো এমন নেতা দিনকে করে রাত, তখন সবাই সাধু সেজে তুলে আনে জাত,  মেধাবীরা সুশীল বনে করে কেবল বকবক গাঁ ঝাড়ে না কোন কাজে কথাতেই সব জাল-টক, দেশ চলে যায় রসাতলে করতে থাকে বিশ্লেষণ  সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় নেতার থেকে ভর-পোষণ, এই হলো তো বাস্তবতা নেতা-সুশীল মাসতুত ভাই তাই মোরা পঁচা ডোবায়  সাঁতার কেটে যায়, হাবুডুবু খাই! https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2700912296900614&id=100009456104541

বারো মাস

 #বারো মাস  মোহাম্মদ মুছা শুষ্ক ছিলো দেহ মন শুষ্ক ছিলো আশা,  বৈশাখ ছিল যেমন তেমন জৈষ্ঠ্য করিল নিরাশা; আষাঢ় মাসে স্বপ্ন বোপন শ্রাবন ঢলে ভাসে দুঃখ আমার পিছন নিলো ভাদ্র দেখে হাসে ; আশ্বিনেতে সবুজ শ্যামল কার্তিকে রুপালি রুপ,  তৃষ্ণা আমার পিপাস হলো অগ্রাহনে শিতল ক্ষোভ ; পৌষ বাতাসে কুয়াশার ঢল মাঘে মেঘে দেখা ফাগুন এলো আগুন ঝরে চৈতন্যতে হলো ফাঁকা,  এই হলো মোর বারো মাস পুড়া কপাল হাসে দুঃখ আমার এমন কেন?  বারো- ই - মাসে!

বসুধার বুকে

বসুধার বুকে  মোহাম্মদ মুছা  আতঙ্কে ভরা কাটছে দিন ভাবনা গুলো রোজ ছুটছে অরন্যের গহিন, রাত যায় দিন যায় মৃত্যুর মিছিল দেখে বিশ্ব ধুঁকছে হতাশায়, শক্তি পরাশক্তি সবি কপোকাত  রুখিতে পারেনি কেহ আজো প্রকৃতির আঘাত, আশার আলো ক্ষীণ হয়ে দিন দিন প্রতিদিন কাতর মানুষ মৃত্যুর ভয়ে, এমন বিভীষিকায় জাগ্রত মানবতা করিবো জয় হবে সূর্যদ্বয় সহায় হোক বিধাতা, দূরে থেকে কাছাকাছি একে অন্যের পাশাপাশি, দেশ বাঁচলে নিজে বাঁচি  বিশ্বাসে আজো আছি, এই মহামারী দিবো রুখে  হাসিবো মোরা আবারো এই বসুধার বুকে,

ভালোই আছি!

#ভালোই আছি,  যদিও বা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ধূলো আর ধূলো,  চাইলে কি আর এতো ধূলো খাওয়া যায় !  তাই ধূলোর চাদঁর গায়ে জড়িয়ে, এইতো ফিরলাম মাত্র ; আর গলগলা করে একটা আস্ত বড় কলা গিলে খেলাম,  কন্ঠ নালীতে কোথাও যেন ধূলাে জমে না থাকে ; তবুও বলি ভালই তো আছি ; যদিও বা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়  কষ্ট হলেও, সন্তুষ্ট আছি  আস্ত একটা বড় কলা গিলে খেয়েছি......