Posts

বসন্ত আজি বসন্ত

 বসন্ত আজি বসন্ত  মোহাম্মদ মুছা বসন্ত আজি বসন্ত  চিত্ত হলো মত্ত, বেদনা সব উড়িয়ে দিলাম যা ছিলো নিরুক্ত।  পলাশ শিমুল কৃষ্ণচুড়ায় রুদ্ররোষে অঙ্গ পুড়ায়, জরাজীর্ণ যতো ছুঁড়ে দিলাম বিবাগী মন ক্ষনে ক্ষন রঙে রাঙায়। বসন্ত আজি বসন্ত  জাগিলো আজি প্রেমোসত্ত্ব, শুভ্র সুবাসে স্বপন শিহরিত  ভুলে যাবো অতীতের যতো ব্যর্থ।    "বসন্ত আজি বসন্ত"

ভুবনমোহিনী

 ভুবনমোহিনী  মোহাম্মদ মুছা আমার শহরজুড়ে অন্ধকার,আমি আঁধারের ফেরারি, চাঁদের আলোয় তারা গুনি, অমাবশ্যায় বিচলিত প্রানে ছুটি এদিক ওদিক, গ্রাস হলো নিয়তি, তুমি ভুবনমোহিনী সুখের চাদর মুড়িয়েছো গায়ে, কোমল নির্মল শিরশির হাওয়ায় মুগ্ধ, চোখের দূরত্বে খুঁজে বেড়াও ধুমকেতুর দিগন্ত।  অথচ আমি বিবর্ন, বিবর্তনের বিরূপ বিধানে, প্রহর প্রহসনের আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত, নিদারুণ নিষ্ঠুর নিবারন সয়ে চলেছি প্রতিনিয়ত, বলতে পারো আমি কেন তুমি নয়? তোমার মতো স্বপ্ন বিলাশের বিমোহিত হয়ে বিনয়ী নয় কেন; তুমি জানো, আমারও জানা কমতি নয়, অবলীলায় অবন্তী তুমি বিধির কল্যানে, তুমি চাইলে অবরুদ্ধ স্বরে বলতে পারো ভালোবাসা সময়ের কিঞ্চিৎ অনুভূতি অনভিপ্রেত মোহ, তবে কেন আমার বেলায় অভিন্ন নয়; হ্যাঁ আসলেই তাই, তাইতো ধুঁকছি ; ভালোবাসা আর মুগ্ধতা একাকার করেছে আমায়, নীরব নিভৃতি থাকা যায়না, আঘাতের পর আঘাত হানা দেয় অন্তরে, অন্তর তা তুমি বুঝবে কি? তোমার তো আছে বিধির লীলা, অবিনশ্বর অভিলাষ পরমতীর্থ অনায়াসী তৃপ্তি, আর আমার সেই কবে- তৃপ্তি গেলো পরবাসে, তোমার অভিজাত্য আধিপত্য শোষণে, শোষিতের প্রেষনা বরাবরেই লাঞ্ছিত, তোমার তাতে কি আসে যায়, ...

কষ্টের আড়তদারি

 কষ্টের আড়তদারি মোহাম্মদ মুছা তুমি কাঁদছো কেন চোখের জল মুছে দিই?  না, কষ্টগুলো জল হয়ে চোখ দিয়ে ঝরতে দাও, না, আমি তা চায়না তোমার চাওয়া না চাওয়া আমার কিছু যায় আসে না,  আমি কাঁদবো আরো কাঁদবো  অবিরত চোখের জল ফেলবো জল নাকি যেদিকে গড়ায় সেই দিকে নদী সৃষ্টি হয়, যে নদীর মালিকানা হবে তুমি আমার কেবল উত্তাল ঢেউ, কূল ভাঙবে ঢেউয়ের আঘাতে যা দেখে তুমি অস্থির হবে,  বসত বাড়ী কেমন রুখবে? আমি মানে আমার জল তোমায় নিঃস্ব করবে হবে ফেরারি  অবশেষে জানবে কেন আমি করি                        কষ্টের আড়তদারি।

আসলে কেন?

 আসলে কেন? মোহাম্মদ মুছা তুমি কি তাই           কর বড়াই? দিয়েছি বলে         দু হাত বাড়াই, নিব হিসাব        কানাই কানাই বসলে কেন?        দু ছোখ জোড়ায় হাসলে কেন?         দু ঠোঁট মিলাই ডাকলে কেন?         মায়াবী সুরলায় হাটঁলে কেন?          আলতা পায়ে মাখলে কেন?          সুবাস গায়ে পড়লে কেন?         বেলি কোপাই আসলে কেন?         নির্জন ভাবনায়

বিবর্ন_বানী

 #বিবর্ন_বানী মোহাম্মদ মুছা ধৈর্যের ফল সুমধুর  সেই আশায় আজো বিভোর,  সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে সৎ সঙ্গ নুয়েছি ঘাসে,  সুখে থাকলে নাকি ভূতে কিলায় দুঃখের মাঝে ও পড়েছি এই কোন পাল্লায়? সস্তার তিন অবস্থা  দামে কিনেও লাভ কেবল খালি বস্তা,  হাগা কুকুরের বাঘা নাম এই সমাজে তাদেরই বেশি দাম ; নাচঁতে না জানলে উঠান বাকাঁ মামার জোর থাকলে তারে আর কে টেকা, সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষ করেনা আমার বেলায় দুঃখ স্রোত তীর ছাড়েনা,  ঢ়েকিঁ নাকি স্বর্গেও ধান ভাঙ্গে সেও রাখেনি কথা আমার সঙ্গে,  খালি কলসি বেশি বাজে ভরা কলসী আসল কোন কাজে?  নিচক এই সব কথার কথা আমায় করে বিব্রত অযথা,

অজ্ঞ রাজনীতির বিজ্ঞ মাঠকর্মী

 অজ্ঞ রাজনীতির বিজ্ঞ মাঠকর্মী         মোহাম্মদ মুছা  আমি অবাক হয়নি কিংবা হতবাক ও না যখন তারা হাসিনা এ ডটার টেল নিয়ে প্রশ্ন তুলে !  তারাতো মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলে !  জয় বাংলা না বলে জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে জাতির জনকের হত্যার দিনে শুভ জন্মদিন পালন করে!  স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে একজন মেজরকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে!  ইতিহাসের জগন্যতম হত্যা ১৫ই আগষ্টের খুনিদের নিরাপদ নিবাস নিশ্চিত করে !  দীর্ঘ ২১ বৎসর ৭ ই মার্চের ভাষন বন্ধ করে রেখে ইতিহাস বিকৃত করেছিল !  ২১ শে আগস্ট বোমা মেরে বাংলার বুকে হত্যার রাজনীতি ইতিহাস উজ্বল করেছিল !  তাতে আবার জজ্ মিয়া নাটক এটে দেশবাসীর সাথে প্রতারনা করেছিল !  আমি অবাক হবোনা হতবাক ও না  যদি আরেকটি বিবর্ন আগষ্ট ফিরিয়ে আনে !  তারা পারে জনগনকে বোকা বানাতে প্রতারনার মঞ্চে এক হয়ে !  তারা পারে কাধেঁ মিথ্যার থলে ঝুলিয়ে গনতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের নামে রাজপতে অগ্নি সন্ত্রাস করতে !  তারা পারে ঠাকুর মার ঝুলি থেকে একে একে গল্প বের করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র আটতে !  তারা প...

চূড়ান্ত বিজয়

 চূড়ান্ত বিজয়                 মোহাম্মদ মুছা মান অভিমান ভূলে গিয়ে যেতে হবে বহুদূর এগিয়ে, রূখতে হবে আধাঁর রাত উকিঁ দিচ্ছে সোনালী প্রভাত। আইরে সবাই আইরে আই ডাক এসেছে জয় বাংলায়, বিজয় নিশান উড়বে সবে সোনার বাংলা গড়তে হবে , গর্জে ওটার এইতো সময় জয় বাংলার করিতে জয়। আইরে সবাই আইরে আই ঐক্য হয়ে এগিয়ে যায়,  নবীন প্রবীন এক সারিতে নৌকা মার্কা সীল মারিতে, তবেই হবে চুড়ান্ত বিজয় নিশ্চয়, জয় বাংলার জয় ।

আত্মবিচ্ছেদ

 আত্মবিচ্ছেদ মোহাম্মদ মুছা আমার সাথে আমার দূরত্ব প্রতিক্ষনে বাড়ছে, নিয়তিকে আর কতো দোষী বলো, পৃথিবীর নীতিই আমার এখন প্রতিপক্ষ অথচ তুমি মহা আদর্শিক নীতির অনুসারী, পৃথিবীটা তোমার আজ্ঞাবহ বললে চলে তুমি শ্বাস নাও নির্মল,সুখের সখ্য বিমোহিত  আর আমি বিষাক্ত শ্বাসে বিচলিত তোমারতো পৃথিবীর সাথে আঁতাত সেই কবে থেকে আমার আত্মবিচ্ছেদ আমাকে একা করেছে তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে সবি এখন অচেনা তুমি আত্মবিচ্ছেদের যাতনা বুঝবে কি? পৃথিবীর যত আহ্লাদ তোমার চারিপাশ জুড়ে আছে তাইতো তুমি বিধাতার কাছে প্রতিদান দিতে মহামরিয়া আর আমি... কিচ্ছুটি পায়নি বিধাতা সাথে লড়ছি আর কতো লড়বো অজানা, লড়ে যাবো অনন্তকাল।  পৃথিবীতে কেউ লড়ে হারেনি হয় বিনাশ হয়েছে, না হয় দখল করেছে অধিকার আমি সেই ক্ষণের অপেক্ষায়! মুছে দিবো সীমানা,বিলুপ্ত হবে সিংহাসন।

অন্তঘাত

 অন্তঘাত মোহাম্মদ মুছা ছুটি অন্তঘাত কাঁধে বয়ে ছুটি সেইতো কবে নিলো সবি লুটি, নিথর স্বপ্ন ঝাঁকুনি দেয় অবিরত আঘাতে আঘাতে বক্ষ ক্ষতবিক্ষত, আমি শূন্য আমি পরিপূর্ণ নির্বাক আমি অপূর্ণ তাই বেলা থেমে যাক, বিদ্রোহী প্রহর তাড়া করে রোজকার আর কতো সহিবো বিরহের হাহাকার,

এসো জয়ের নিশান উড়াই

 এসো জয়ের নিশান উড়াই মোহাম্মদ মুছা  স্বপ্ন রোজই হচ্ছে ক্ষত  পিচ ঢালায়ের পথে মতো স্বপ্ন রোজই হচ্ছে বলি এই শহরের অলি-গলি,                                 চোখের স্বপ্ন বুকে উতলায় শহর জুড়ে দানব দৌড়ে  যায়না চেনা মানব ভীড়ে মুখে ঢাকা মুখোশ তাদের  গুনে ধরেছে আপন বোধের,                                        ওরা স্বপ্ন ছিবে খাই স্বপ্ন বাবার কাঁধে ঝুলে স্বপ্ন মায়ের আঁচল দোলে স্বপ্ন তুলে ঢেউ তরুণ-তরুনীর স্বপ্ন গভীর কাটবে তিমির,                                      তবুও স্বপ্ন থমকে যায়  এসো সবাই রুখে দাঁড়ায় ঐক্য হয়ে দানব তাড়ায় অশুভ শক্তি নিপাত যাবে সফল হবে স্বপ্ন তবে,                               এসো জয়ের নিশান উড়াই

ইচ্ছে আমার

 ইচ্ছে আমার মোহাম্মদ মুছা  ইচ্ছে আমার এলোমেলো            উড়ছে শহর জুড়ে শত বাঁধা গোলকধাঁধা            যায়না রাখা বেঁধে, পাখির মতো ডানা মেলে          নীল আকাশে উড়ে,  মেঘের কোলে হেলেদুলে          পাগলা বাদল ঝরে, ইচ্ছে আমার  মাতাল হলো           দামাল ছেলের মতো উড়ছে কেবল শত প্রবল                রুখবে বাঁধা শত, ইচ্ছে আমার বাঁধনহারা            ছুটেছে বাঁকে বাঁকে চাইনা ফিরে পিছন পানে          ভোরের কিরন ডাকে, ইচ্ছে আমার ক্ষণেক্ষনে               রঙিন স্বপ্ন দেখে ভালোবাসার ফুল ফোটাবে               এই শহরের বুকে,

অনন্ত জ্বালা

 অনন্ত জ্বালা মোহাম্মদ মুছা  হৃদয় আমার বন্দী আজো তোমার মায়া জালে নয়ন জলে বুক ভেসে যায়  স্বপন ডুবে কালে, চন্দ্র সুরুজ পালা বদল আঁধার আলোর খেলা রাজ্যে বাজে বিষাদ মাদল এইতো বিধির লীলা,   পথের বাঁকে পিছন ডাকে হাতছানি দেয় বেলা পোড়া কপাল আর কতো কাল সইবে দহন জ্বালা!

#নিশাচর

 নিশাচর মোহাম্মদ মুছা  আমি রোজই রাত জেগে রই নয়ন জুড়ে রেখে তোরে সই,                                        ঘোর নিশাচর হয়ে                     বিরহ বেদনা বয়ে।  চাঁদের লগে তর্কে ভিষণ জড়ায়  নীল বেদনার জোৎস্না কেন ছড়ায়,                   আধাঁর যতো গভীর                   যাতনা হয় নিবিড়।                      ক্ষোভের আগুন হৃদ পুড়ে যায়  তবু্ও তোরে খুব ভেসে যায়,                    তাইতো তারার মেলায়                     তোরে খুঁজে বেড়ায়।

প্রত্যাশায় অমাবশ্যা

 প্রত্যাশায় অমাবশ্যা - মোহাম্মদ মুছা  ক্রমাগত সড়ক দুর্ঘটনা, দলীয় কোন্দলে হত্যা, জ্বালানি সহ নিত্যপন্যর দাম বৃদ্ধি, হাইব্রিড বহিরাগত তেলবাজ নেতাদের বেফাঁস মন্তব্য এবং নুরল হক নুরু পাগলাদের সর্ব বিষয়ে মিথ্যাচার,জাতীয় রাজনীতিতে নেতাদের ভণ্ডামি, টক শো নামে আক্কেলগুড়ুম দলকানা  আবাল বিশ্লেষকদের লাগামহীন বেহায়াপনা এবং অতি সুশীল নামক বর্নচোরাদের তোষামোদি, শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে রাজনীতির নামে আধিপত্য বিস্তারে গুন্ডামী, এবং সহজ সরল বাঙালিদের ধোঁকা দিয়ে কাটমোল্লাদের ধর্মের রমরমা ব্যবসা দেশ ও এবং কতিপয়শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের লাগামহীন সিন্ডিকেট করে বাজার জিম্মি সর্বশেষ সংযুক্তি নব্য-রাজাকারদের বাকস্বাধীনতা নামে অজ্ঞাতকুলশীলদের অবাধ বিচরণ জাতির স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে দিকে নিয়ে যাচ্ছে, সোনার বাংলার অগ্রযাত্রা ফিকে হয়ে আসছে,  এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি এখনো থামানো না যায় অথবা থামনোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তাহলে সমাজ, দেশ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে যার খেসারত সাধারণ জনগনদের দিতে অথচ যারা উপরে উল্লেখ্য অপকর্মে কোনটির সাথে কিঞ্চিৎ পরিমাণ লিপ্ত নয় এবং সর্বক্ষন জীবনযুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্...

ব্যর্থ স্বাধীনতা

 ব্যর্থ স্বাধীনতা মোহাম্মদ মুছা স্বাধীনতা ব্যর্থ আজি তাইতো মনে ক্লেশ এতো জারজ রাখবে কোথায় সোনার বাংলাদেশ! জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ পাকিস্তান জিন্দাবাদ  প্রতিদিনই হচ্ছে বুঝি পাক-জারজরা দেশে আবাদ! মাতৃগর্ভে শিশুর জন্ম দশ মাস তো প্রয়োজন পাক হটিলো একাত্তরে তবুও এতো প্রজনন? যেথায় সেথায় ধর্ম দিয়ে বিশ্বাস করে লোপাট ছোবল মেরে ধ্বংস করে আমজনতার ললাট, স্বাধীনতা ব্যর্থ আজি তাইতো মনে ক্লেশ এতো জারজ রাখবে কোথায় সোনার বাংলাদেশ!

শৈশব পিছন টানে

 শৈশব পিছন টানে মোহাম্মদ মুছা শৈশব কালের স্মৃতি আজো চেপে আছে গাড়ে হতাশ মনে ভাবি এখন বয়স কেন বাড়ে! হন্য হয় খুঁজে নিতাম ময়নার পাখির ছানা পাতার টাকায় হতো তখন স্বপ্ন বেচাকেনা, আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন তখন পুতুল দিতাম বিয়ে কবু আবার বর সাজিতাম মুখে রুমাল দিয়ে, মনটা আজি ধরছে বায়না শৈশবে ফিরে যাবো কারো মন্ত্র আছে জানা সেই কাল ফিরে পাবো? ভরা দুপুর মেটো পথে থাকতাম চেয়ে রোজে হাওয়ায় মিটাই'র টুনটুনিটা কখন ওঠে বাজে, হাতে নাড়াই রঙ্গিন ঘুড়ি আকাশ যেতো ছেয়ে সাদা মেঘ ধরতে চাইতাম সুতো বেয়ে বেয়ে।  সেই শৈশবের দুরন্তপনা ভয় কি কারে পেতাম বাঁধার শিকল ভেঙে ছুঁড়ে মুক্ত পাখি হতাম, বন্ধু সকল জোট বাঁধিয়া ইস্কুল ফাঁকি দিতাম মাস্টার মশাই'র বেতের বারি হাত পাতিয়ে নিতাম, কানামাছি খেলতে আজি কেহ নাহি ডাকে খবর দিতে আসেনা কেউ কোন গাছে ফল পাকে। শৈশব স্মৃতি এখন শুধু জাগে মনে প্রানে ইচ্ছেরা সব ব্যকুল করে পিছন পানে টানে,

বিষাদের সুর

 বিষাদের সুর মোহাম্মদ মুছা দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত হলো কই আমি আজো খামলা খাটি তোমার মহলে সই! অঙ্গে দিলে জড়িয়ে কেমন মায়াজাল এতো জ্বালা গলার মলা সহে পোড়া কপাল, রাজ্যে জুড়ে বিষাদ মাদল সুর তোমার তাতে কি আসে যায় আমি বিরহে বিভোর!

উদাসী মন

 উদাসী মন মোহাম্মদ মুছা উদাসী মন ক্ষিপ্ত ভিষণ  আর সহে না নিরব শোষণ  ঘুর্নি হয়ে আসছে ধেয়ে  তোমার সুখের আঙ্গিনায়, প্রবল বেগে ছুড়েছে তেড়ে পাগলা হাওয়ায় নোঙর ছিঁড়ে ফুঁসছে আরো গাপটি মেরে তোমার দেয়া বেদনায়, উপড়ে মাটি ভাঙবে আকাশ এক পলকেই  করবে বিনাশ যাবে ক্ষয়ে নিবে বয়ে তোমার ক্ষত যন্ত্রনায়,

শরতের কামনা

 শরতের কামনা মোহাম্মদ মুছা  শুভ্র সাদা মেঘ  তুলেছে জেগে আবেগ, সাদা কাশফুলের সারি মন জুড়েছে ভারী, শরতের কথাই বলছি তাতেই তোমায় খুঁজছি, আসো কাশফুল ছুঁই ঘাসের বিছানায় শুই, গোধূলিলগ্নে হারিয়ে যায় তৃষিত মন জুড়ায়, শিউলু তুমুল সৌরভ হবো দুজন মগ্ন ভৈরব!

দায়ভার

 দায়ভার  মোহাম্মদ মুছা  বলো প্রভু ভূল কার তাহারে খুঁজিতে খুঁজিতে পথের বাঁকে আজ একাকার, গড়িয়েছে এতো বেলা নেমেছে শহর জুড়ে অন্ধকার, হুতোম প্যাঁচার ডাকে নীল জোছনার বাঁকে করছে মন উতাল, পাবো কোথায় তাকে হয়তো তারার ঝাঁকে হলাম আজি মাতাল, রাত যতোটা গভীর মন ছুটেছে সবির দম থেমেছে বারবার, ভাবনায় ডুবে নিবিড় বাঁধ ভেঙেছে সমীর পাল ছিঁড়েছে আমার, বলো প্রভু ভূল কার তাহারে বাসিতে বাসিতে আপনার জীবন আজ ছারখার পুড়েছে পুরোটা হৃদয় চারিদিকে কেবল দগ্ধ হাহাকার,  বলো প্রভু ভূল কার এতো মায়া তাহার লাগি সহিতে সহিতে মরি নির্বিকার নিঃস্ব আমি পুরোদমে তবুও তাহারে চাহি বারবার,  বলো প্রভু ভূল কার উদাসী মন বুঝেনা দায়ভার!

আসক্ত ভাবনা

 আসক্ত ভাবনা মোহাম্মদ মুছা  জীবনের পরতে পরতে পদচিহ্ন রেখে নিজেকে আড়াল করেছো, এই শহরে এমন কোন অলিগলি নেই তোমাকে খোঁজা হয়নি, তবুও থেমে নেই খুঁজছি আজো খুঁজছি, কদম, হাসনাহেনা, বেলি ঝরে পড়ুক তামাম হবে এই শহরের বাতাস ভেজা কোপার সুবাস লুকাবে কেমনে, আমি যে তীর আছি আমার পনে। হ্যামিলনের বাঁশিও আছে, যেদিন সব থেমে যাবে, তুলে দিবো সুর  বেলা শেষে সামলাবে কেমনে নিজেকে? তখন তোমায় নিয়ে ডুব দিবো অথৈই জলে, নীল সাগরে,

অভিমানী নন্দিনী

 অভিমানী নন্দিনী  মোহাম্মদ মুছা  ঘুরছে ঘড়ির কাটা,ঘুরে অবিরাম     জীবন বেলা পার হয়ে যায়        বলছি খানিক থাম, চন্দ্র সূর্য আসা যাওয়া দিব্যি পালা করে শখের বাগান শূন্য আজি রোজই পুষ্প ঝরে, নদীর বুকে জোয়ার ভাটা বদলায় জলের রূপ স্রোতে ভরা নদী আমার বুকে ভিষণ ক্ষোভ,  ঘুরছে ঘড়ির কাটা,ঘুরে অবিরাম      জীবন বেলা পার হয়ে যায়          বলছি খানিক থাম, অভিমানী নন্দিনী মোর আসবে ফিরে তাই থমকে আছে জীবন আমার  তারই অপেক্ষায়!

শ্রাবন বিষাদ

 শ্রাবনের বিষাদ মোহাম্মদ মুছা  মেঘের আড়াল সুনীল আকাশ শ্রাবন বুঝি করলো বিনাশ, ঝরো ঝরো ঝরছে অঝোরে মনটা উদাস বিরহ বিভোরে, জলে জলে সিক্ত শ্রাবন উতলা ঢেউয়ে লুটেছে কানন, বাঁধি কেমন বলো হৃদয়টারে খেল হারিয়ে যায় মুশলধারে, ঝরো ঝরো ঝরছে অঝোরে মনটা উদাস বিরহ বিভোরে, হৃদয় নদীর বাঁধ ভেঙে যায়  স্রোতের পরে স্রোতের হানায়, শ্রাবনের বিষাদ বিরহ জাগায় মনটা মাতাল পাগলা হাওয়ায়!

ভালোবাসার জয়গান

 ভালোবাসার জয়গান  মোহাম্মদ মুছা  মোগল গেলো তুর্কি গেলো ইংরেজ ও গেলো হটে আমার রাজ্যে তুমি কেবল উঠে রইলে লাটে!  বেনিয়াদের আনাগোনায় হলো শত বিবর্তন তুমিও এসো রয়ে গেলো হৃদয়ে আমার চিরন্তন, না মুছিলে হৃদয় হতে না সরিলে স্বপ্নে রাতে  ভাঙছো হৃদয় প্রতিদিনই নিঃস্ব আমি তাতে, জ্বলতে জ্বলতে কয়লা আমি তাইতো এখন বিপ্লবী সইবে না আর কোন আঘাত শোনরে আমার অপ্সরী, করবো আঘাত তোর সীমানায় কাঁদবে আকাশ ধ্বংসলীলায় অহংকারের প্রাচীর ভেঙে  মিশিয়ে দিবো সবি ধুলায়, আনবো তখন লুটিয়ে তোরে রাখবো বুকে জীবন ভরে কার কি সাহস ছিনিয়ে নিবে ধরবো দুহাত শক্ত করে, ভালোবাসার রটবে জয়গান দেখবে বিশ্ব জনে-জনে  করবো তোরে মহারানী আমার মনের সিংহাসনে।

ভালোবাসা অভিশাপ

 ভালবাসা অভিশাপ মোহাম্মদ মুছা  হেসে খেলে দিব্যি তুমি করছো বেলা পার ক্ষণে ক্ষণে ভোগছি আমি প্রেম-যাতনার বিমার, এমন তফাৎ কেনো বলো কারে দিবো দায়? ভালোবাসা নিঃস্ব করে এইতো বলবে সাঁই! স্বাদের জীবন তুচ্ছ করে বন্দী কারাগারে তোমায় আজো খুঁজে খুঁজে ডুবছি অন্ধকারে, যে নগরে সুখী তুমি তোমার মতো করে সেই নগরে দুঃখবিলাস আমার হৃদয় জুড়ে! তবুও আজো বলবে তুমি মুল্যহীন আমার ভাব তাহলে কি ভেবে নিবো ভালোবাসা শুধু অভিশাপ!

বসত মাটির ঘরে

 বসত মাটির ঘরে মোহাম্মদ মুছা  বিস্তৃত পৃথিবীতে মোদের কত কি কারবার, দালানকোঠা আর সাজ গোঁজে রাঙায় সংসার, নয়ন জুড়ে স্বপন বুক ভরা আশা কপালেরে দোষী আবার পায়না যখন দিশা, সুখ আর দুঃখ হাসি আর কান্না এইতো বুঝি জীবন নদীর অন্তিম মোহনা, যার যতো বাহাদুরি জীবনের এই মেলায় হাত দুটো শূন্য সময় যাওয়ার বেলায়, ভালো আর মন্দ সবাই যায় ফিরে মাটির গড়া দেহ বসত মাটির ঘরে, মনুষ্য দিয়ে বিধাতার এই কেমন খেলা তিনিই জানেন নিশ্চয়ই কেন সৃষ্টির এই লীলা!

মৃত্যুপুরী

 মৃত্যুপুরী মোহাম্মদ মুছা  পৃথিবী এখন মৃত্যুপুরী কেউ পাচ্ছে না ছাড় খাটছে না তো বাহাদুরি  পায়না কেহ পার। টাকা পয়সা খানা খড়ি ক্ষমতার দাপট শুন্য, সোনা রূপা ভরিভরি নিয়তির কাছে নগন্য।  রাজা-প্রজার সমান হাল আগে কিংবা পরে,  সারাবিশ্ব চুপসে নাকাল বুকটা কাঁপছে ডরে! তবুও মোরা উদাসীন কার বাঁধা কে মানে, হলাম আজি বিবেক হীন টনক নড়ে না প্রানে!

গুনহীন

 গুনহীন  মোহাম্মদ মুছা  গুনহীন চিরদিন পরাধীন রয়, তলে তলে বাজায় বীন অন্যরা যা কয়! মন তার অতি ক্ষীণ দোষ খুঁজে রয়, নিজ তার কাজ কী মনে নাহি রয়! তোষামোদে কাটে দিন নাহি লাজ হয়, নাহি বিবেক, জ্ঞানহীন আপনাতে বড় লয়! গুনহীন চিরদিন  পরহিংসু হয়, অন্যর অর্জিত জয়  তার নাহি সয়! গুনহীন চিরদিন  পরাধীন রয়!

প্রেম যমুনা

 প্রেম যমুনায় মোহাম্মদ মুছা  আজি আকাশ ভিষণ অভিমানী কাঁদছে কতো অঝোরে  হৃদয় আমার ডুব দিয়েছে  তোমার স্মৃতির গভীরে, তারই যতো বুকের জ্বালা মেটায়  কেঁদে কেঁদে সব যাতনা বয়ে যাবে  মিশে যাবে হ্রদে, তোমার স্মৃতি মেঘের মতো বুকে জমাট বাঁধে অভিমানী মোর নয়ন খানি আকাশের মতো কাঁদে, আষাঢ়ের মতো ঝরবে সেতো  ভাসবে তুমি জলোচ্ছ্বাসে এতো জল বইবে ঢল  খেল হারবে ঘূর্ণিঘ্রাসে,  কূল ছেড়ে তাই আমি সেথায় অপেক্ষাতে সব মোহনায় তোমার কোমল হাতটি ধরে ডুবে যাবো প্রেম যমুনায়!

পাওনা টা দাও আমার

পাওনা টা দাও আমার মোহাম্মদ মুছা  পাড়া গাঁয়ের হাবা ছেলটিও প্রেমে ঘোরে বিভোর, আমায় বেলায় তুলছো তুমি নিয়ম-নীতির সুর,  হৃদয়টা কি আমার গড়া?দোষো আমায় বারবার  দোষলে দোষো বিধাতারে,দায়টানয় কি তার?  কেন দিলো হৃদয় জুড়ে কোমল আবরণ  ঝলসে কেন দেয়না সেটি সূর্যের তপ্ত কিরন নদীর বুকের স্রোত দিয়েছে,তাতে হয়নি দায়! পাল ছিঁড়ে যায়,কূল ভেঙে যায় পাগলা ঘুর্নি হাওয়ায়, আকাশের বুকে চাঁদ,আরো আছে তারা উদাসী মন যখন তখন করে দিশেহারা, বসন্তে লাল কৃষ্ণচূড়া, বর্ষায় হলুদ কদম ফুল লাল হলুদের বাহারিতে মন হয়ে যায় ব্যকুল, প্রেম সৃষ্টি  স্বর্গ থেকে, দায়টা বলো কার?  দোষলে দোষো বিধাতারে, পাওনা টা দাও আমার! 

হৃদয় আমার বাঁধ ভেঙেছে

 হৃদয় আমার বাঁধ ভেঙেছে মোহাম্মদ মুছা  বুকেতে  প্রবল শ্বাস ছিলো বাঁশি জুড়ে সুর, দু’চোখেতে স্বপ্ন ছিলো ভাবনায় ছিলাম বিভোর, বাঁশিতে আর সুর ওঠেনা কে নিয়েছে লুটে চেপে রেখেছি বুকের ভিতর বলছি না তো হাঁটে! অচল এখন বুকের পাঁজর  শ্বাস চলেনা তাতে, বাঁশিটাতে জং ধরেছে  রেখেছি তারে পোঁতে, যে ছিল মোর স্বপ্ন আশা  ঘর বেঁধেছে দূরে  আমার ব্যাথা বুঝবে সে কী জ্বলছি কেন পোড়ে! জ্বলতে জ্বলতে কয়লা এখন সবি তাহার দায়  আরো বেশি জ্বলবো আমি সব পোড়াবো লাভায়! সর্ব বিশ্ব জ্বালিয়ে  দিবো লুকাবে কোথায় গৌরব?  আস্ত কেমন থাকো তুমি থাকবে কেমনে নীরব! হৃদয় আমার বাঁধ ভেঙেছে চুপসে আছে ক্ষোভে, যেখানে তুমি লুকিয়ে থাকো জ্বলবে অনল তাপে।

ভাঙা তরী

 ভাঙা তরী  মোহাম্মদ মুছা  এইপার ওপার উজাড় করি উজানে ভাসায় ভাঙা তরী, সুখ খুঁজিতে ঐপারে যাই যাত্রা কালে সবিতো দায়!  পথিক হয়ে অচিন পথে  ভ্রান্ত আমি আপন মতে আজো কেন পথ হারাই তাড়াই বিবেক আজো তাড়াই,  দিনের পর দিন প্রতিদিন সুখের নেশায় বাজাই বীন রাতের পরে রাত প্রতিরাত চোখে চোখে রাখি চাঁদ,  হঠাৎ আকাশ মেঘলা হলো চাঁদখানা গোটা গিলে খেলো জীবনটা গোল্লায় গেলো সর্বনাশে আমিও গেলাম আঁধারে মিশে, ভাঙা তরীর বিষাদ গল্প এইখানেতে শেষ নয় আঁধার এখন মিত্র আমার চোখের জলের বিনয়! কাব্যগ্রন্থঃ- দ্রোহের আগুন প্রকাশ কাল ঃ- অমর একুশে বই মেলা-২০২০, ঢাকা

বিশ্ব একদিন জাগবে

 বিশ্ব একদিন জাগবে মোহাম্মদ মুছা  মরুর বুকে বয়ছে রক্তের স্রোত বিশ্বজুড়ে হাহাকার বাড়ছে লোকের ক্রোড়, বিশ্ব নেতাদের মুখের বুলি থামে কি আর ইহুদীর গুলি? ঝরছে তাজা প্রান চলছে আগ্রাসন মানবতা লেজ গুটিয়ে গেলো নির্বাসন! দায় হয়েছে মাথা গোজার ঠাঁই  গোলাবারুদ যেথায় সেথায় করেছে পুড়ে ছাই, নরপশুদের এমন হত্যা মেনে য়ায়? মানবতার দূতর বুঝি গেলো আজি কোমায়! প্রতিহিংসার এমন আগুন আর কতদিন জ্বলবে? প্রতিশোধের শপথ নিয়ে বিশ্ব একদিন জাগবে।

দায়টা কার

 দায়টা কার মোহাম্মদ মুছা  অবশিষ্টাংশ নিয়ে ভালোই তো আছি, যেখানে সবি বিকৃতির কবলে উলোটপালোট হলো সেখানে তুমি বিবর্তনের বার্তা নিয়ে এলে, মাটি রক্ত শোষে নেয়,মুছে দেয় না, তোমার আবির্ভাব দুঃখ গোছেনি যাতনার রং বদলেছে শুধু, বুকের পাঁজর ভেঙে হৃদয়টা বেরুতে চায়, পৃথিবী কেন এতো নিষ্টুর! অনিষ্টকারী হেঁসে দুলে সন্ধ্যা রাঙ্গাই, গোধূলির আছড়ে পথ খুঁজে নীল আকাশটাকে বির্বন করে তোলে, নিশিতে যন্ত্রণার বিস্তার কেন বিস্তৃত হয় ; নগর জুড়ে এতো কোলাহল  তবুও কে যেন নেই, বুঝার অবকাশ নাই বললে কি হয় ? কি যে এমন ব্যর্থতা, বেদনার সকল ঝুলি একাই বয়তে হবে!  সবি যদি বিকৃতির আদলে গড়া আর বাকী রইলো কি? বলো, নতুবা অন্য জগতে চলো আমি তোমায় নদী চেনাবো, যেখানে কূল ভাঙে না, পাল ছিড়েখুঁড়ে অচল হয়না তরী, যদি তা না হয় বলো দায়টা কার?

নীল বেদনা

 নীল বেদনা  মোহাম্মদ মুছা  নিঃসঙ্গতার কোলষ ভেঙে  মুক্ত হাওয়ায় উড়তে চাই,  তোমার স্মৃতির বাঁধ সেজেছে  এখন আমি নিরুপায়!  উদাসী মন জানি কখন পিঞ্জর ভেঙে পালাই,  নীল বেদনা ক্ষন বুঝেনা যখন তখন পুড়াই।

ওরে শকুন

 ওরে শকুন মোহাম্মদ মুছা  শকুনে পাক ঝাপটায় শুকনো পাতা উড়ে  বকের ছানা দিশেহারা প্রান বাঁচাতে দৌড়ে, বাতাস আজ ভারী আকাশ লাজে কাঁদে  মাটির ভিষণ ক্ষোভ স্বাক্ষী ছোবল বদে, "ওরে শকুন" আকাশ কারো ঠিকানা নয় চাঁদ তারারাও ভাসে  মেঘের যত বাহাদুরি বজ্রপাতেই খষে,,

বসন্তটা যাক

 বসন্তটা যাক মোহাম্মদ মুছা  আজ আমি বিবর্ন নই উচ্ছ্বসিত বসন্তের ছোঁয়ায়, কোকিল ডাকে পলাশ ফুটেছে  বিমোহিত লাল কৃষ্ণ চুড়ায়, অন্তরে  জাগায় প্রেমে স্মৃতি সেই যবে যে এসেছিলো রঙ্গে রঙ্গিন ভাবনা সবি শিহরনে আকাশ মাঠি মিশেছিলো, ঘুমে আজি বিভোর নই স্বপ্নের ডানায় ভেসে বেড়ায় চারদিকে আজ এতো সুবাস নির্মলতায় মন যে জুড়ায়, বসন্ত "তো" আজ বসন্ত  মনের যত যতনা নিবৃত্তে থাক আবার না হয় ফিরে আছিস অন্তত  বসন্ত "টা" যাক।

প্রেমের যাঁতাকল

 প্রেমের যাঁতাকল  মোহাম্মদ মুছা তুমি আমায় পিশেছিলে প্রেমের যাতাঁকলে,  সেই যাতনা আর বয়বেনা মনটা কেঁদে বলে স্মৃতির ফ্রেমে গেলো থেমে আমার জীবন কাল,  জীবন তরী বয়ে মরি দুলছে ছেঁড়া পাল যুগের পরে যুগ পেরোবে তুমি রবে অন্তরে, অথৈজলে ঢেউয়ের কোলে ভেসে রইবো কালান্তরে।

চেতনা হলো বৃথা

 চেতনা হলো বৃথা মোহাম্মদ মুছা  যুগটা এখন নাইতো তেমন  গুনিজনের মান করা, হাতছানি দেয় আঁধার কালো সভ্যতা আজ দিশেহারা, অসৎ লোকের দাপট বিষন তারা'তো' আজ নেতা, তাইতো সমাজ পশ্চাতে যায় চেতনা হলো বৃথা, মুখে সবার ফোটে বুলি বদলে দেওয়ার স্লোগান তারাতো ভাই আসল দানব লুটে বনে বলীয়ান, এমন করে আর কতদিন আমজনতা ঘুমাবে,   আসলেই দিন বদলে দিতে কখন রুখে দাঁড়াবে ?

রক্ত যখন দিয়েছি

 রক্ত যখন দিয়েছি মোহাম্মদ মুছা  রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিবো, তবুও স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবো, এই বারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এই বারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম আজ এই স্বাধীন বাংলা তারই অবদান।  "তোমাদের যা কিছু আছে  তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক" তার অন্তরালে বাংলার মান রাখো, "প্রত্যেক গ্রাম-গঞ্জে,ইউনিয়নে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো " মুক্তিকামী সংগ্রামী জনতাকে ঐক্য গড়ে দিলো, মুজিবের বজ্রকন্ঠে স্বাধীনতার ডাক- গর্জে উঠলো বাঙ্গালী, বিশ্ব হতবাক, ঘুমন্ত নিরস্ত্র পাক-হায়েনাদের আক্রমন বীর বাঙ্গালী শপত ভীত নয় মোরা, তান্ডবে তান্ডবে রক্তের সাগরে পরিণত এই বাংলার মাটি, যায়নি বৃথা রক্তের স্রোত বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার দূত ।

তিলোত্তমা প্রিয়তমা

 তিলোত্তমা প্রিয়তমা মোহাম্মদ মুছা  তিলোত্তমা প্রিয়তমা বেঁধেছো বুঝি ঘর,  বিরহের এই মহারাজ্যে  আমি আজো যাযাবর।  চন্দ্র সুরুজ খসে পড়েছে  তারার মেলাও নাই, আমার আকাশ শূন্য আজি কে নেবে তার দায়? তিলোত্তমা করো ক্ষমা ভুলতে আজো পারিনি,  বুকের ভিতর জম ধরেছে স্বপ্ন তবুও মরেনি ;   তিলোত্তমা প্রিয়তমা সুখে তুমি থেকো আমি একদিন তারা হবো আঁধার রাতেই দেখো !

বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা

 বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা  মোহাম্মদ মুছা  পুরাতনকে বিদায় দিয়ে  করবো নতুন বরন হৈ-হুল্লোড়ে সাজ গোজিয়ে চলবে করতো মহারন, ভূলে গিয়ে হানাহানি  রইবো সবাই মিলেমিশে  নয়তো অতীত টানাটানি  খুঁজবো নতুন দিশে, এমন বানী সবার মুখে আজি মিলবে অহরহ   একটা দিনের ব্যবধানে  রাখবেনা কথা কেহ, বিধায় কিংবা বরণ বলি তাতে করি পন দিন বদলের মুখে কলি বদলায় নাতো মন ;  বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা  এর চাইতে বেশি কিছু নয় স্বাদের জীবন হয় জটিকা ভাবনাটা; ভাবনা হয়েই রয়!

অনুভূতি

 অনুভূতি  মোহাম্মদ মুছা  চাঁদ কি ছোঁয়া যায়? তবুও লোকের পিরীত-- চাঁদের সাথে কানাই কানাই  এই যদি হয় অনুভূতি  তোমার সাথে আমার পিরীত কারো বাঁধা কি মানায় ?  _____________________ পূর্নিমাতে চাঁদ হাসে  শিহরণ জাগে শিরাই শিরাই এই যদি হয় অনুভূতি  তোমার সাথে আমার পিরীত  লোকে কেন আড়চোখে চাই ? _________________________ চাঁদের সাথে রাতের পিরীত জোৎসায় আলোয় ভাসে তোমার সাথে আমার পিরীত স্বাক্ষী কেবল আমার সর্বনাশে !

ক্রান্তিকালের কাব্য

 ক্রান্তিকালের কাব্য  মোহাম্মদ মুছা  চোখের জল ঝরেছে তো অঝোরে কয় ফোঁটা হিসেবে করে দেখিনি, বুক ভিজেছে অন্তর শুকিয়েছে শ্যাওলা জমেছে চোখের পাতায় তবুওতো ভুলিনি।  কতো পথ হেঁটেছি প্রান্ত ছুঁইবো বলে যেথায় মিশেছে আকাশের সীমানা,  ফুরিয়েছে বেলা আঁধার করেছে তাড়া তবুও ছুটেছি একা আমি আনমনা।  নির্ঘুম কেটেছে প্রহর মাথার উপর বয়ে গেলো কতো পুর্নিমার চাঁদ, কেন তুমি আসোনি কেন ভালোবাসনি সইবো বলো কতো আর পরাগত ? আমার চারিপাশ জুড়ে আজ হাহাকার পুড়েছে কপাল হয়েছি ঝলসে ছারখার আজো কি হাসবে? আমার আছে কি আর বলো এইজগতে হারাবার !

ছুঁয়ে একটু দিলাম

 ছুঁয়ে একটু দিলাম  মোহাম্মদ মুছা  পৃথিবীটা নিস্তব্ধ ঘুমিয়ে আছে শহর নির্জনতায় পাশ কেটেছে প্রেম কুয়াশার বহর, চাঁদটা বুকে নেমে এলো ছুঁয়ে একটু দিলাম  আমার মাঝে আমিতো নাই হারিয়েতো গেলাম! রাত হেসেছে বাঁধ ভেঙেছে তোমার আমার তফাৎ, এতো কাছে এসেছিলে মন পুড়ছে নিখাদ! আবার কবে মরুর বুকে জলে বইবে স্রোত বুকের মাঝে জড়িয়ে নিবো, নিবো প্রতিশোধ,,

শিহরন জাগে

 শিহরন জাগে মোহাম্মদ মুছা  প্রেম আছে বলে তুমি এতো সুন্দর  ভালবাসার লাগিয়া তুমি প্রেম-প্রিয়সী, তাইতো বুঝি কাঁদে আজি অন্তর  হলো না কেন ভালোবাসা-বাসি? অনুভূতি আছে বলে শিহরন জাগে ছুঁতে তোমায় মন করে উচাটন, দূরে তুমি ভাবতে বিচলিত লাগে সয়ে থাকা যায় বলো কতক্ষণ?  প্রেম আছে বলে জাগ্রত স্মৃতির পাতায় সেই স্মৃতির আজ কেবল কাঁদায়, জীবনের হিসাব গেলো আজ বৃথাই আঁধারে আলো মিশে গেলো বিষন্নতায়!

চেতনা আমার লুট হয়েছে

 চেতনা আমার লুট হয়েছে  মোহাম্মদ মুছা চেতনা আমার উইপোকা খাই মন্দ লোকের আনাগোনায়  সত্যের কোথাও ঠাঁই আজি নাই,  সমাজ জিম্মি চাটুকারিতায়, চেতনা আমার গুনে ধরেছে শ্যাওলা জমেছে ভাবনায় অঙ্গিকার আমার হেলছে দোলছে এই কোন পরিত্যাক্ত আঙ্গিনায়?  নীতির দন্ড খন্ড খন্ড  আক্কেল গুমোড় আঘাতে  মানব বিবেক লন্ড-ভন্ড আপন শিরটা নোয়াতে!  শষ্য ক্ষেতে ভূত নেমেছে লাভ হবে কি কাকতাড়ুয়ায়? চেতনা আমার লুট হয়েছে  কাটমোল্লা-দের ফতোয়ায়! চেতনা আমার জম ধরেছে সম্প্রীতি আজ নির্বাসনে মৌলবাদরা জোট বেঁধেছে  মন ভেঙ্গেছে প্রহসনে ।

সর্বনাশ

 সর্বনাশ মোহাম্মদ মুছা দালান কোটার চিপায় গলি ইট পাথরের রঙ্গিন তুলি, কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ, কোথায় গেলো সরষের অলি খোঁজে না পায় পাকপাকালি এই শহরই করলো সবি গ্রাস হলো সর্বনাশ।  সবুজ শ্যামল কত কোমল রাত পোহালেই হতাম বিমল কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ,  কোথায় গেলো জোনাকির দল  সবুজ বাতির আঁধার ঝলমল এই শহরই করলো সবি গ্রাস হলো সর্বনাশ।  গায় না মাঝি জারি সারি নদীর বুকে বায়না তরী কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ, পানকৌড়িদেট ডুব গেলো কই রোদ্র ঝলকের জলের অথৈই এই শহরই করলো সবি গ্রাস  হলো সর্বনাশ।  কাব্যগ্রন্থঃ-দ্রোহের আগুন  প্রকাশ কালঃ- অমর একুশে বই মেলা,২০২০

রহস্যের আজব কারিগর

 রহস্যের আজব কারিগর  মোহাম্মদ মুছা  মানুষ রহস্যের আজব কারিগর  কেহ বাঁধে ঘর আবার কেহ যাযাবর, গড়ে তোলে তাজমহল প্রেমের ঘোরে  নির্বাসনে যাই কেহ বিরহ বিভোরে, আকাশে উড়ে বেড়াই দিগন্তের সন্ধানে  ফুল ফুটাই গড়ে বাগান প্রস্তর উদ্যানে, অথৈই জলে ভাসে বৈটা হাতে তরী প্রকৃতির বুক ছিঁড়ে সমতল করে গিরি, অচিনকে সুচিন করে মাটি করে উর্বর  আবার কেহ উজাড় করে হয়ে বর্বর, যদিওবা হরেক ভাষা হরেক রকম জাত তবুও মানুষ সৃষ্টির সেরা আশরাফুল মাকলুকাত।

স্বপ্নের বিনাশ

 স্বপ্নের বিনাশ মোহাম্মদ মুছা  নিঝুম রাতে বসে মেলায়,জীবনের হিসাব নিকাশ কার লাগিয়া হলো বুঝি সপ্নগুলোর বিনাশ, কে হেরেছে কে জিতছে কার হয়েছে ছারখার  অথৈই জলে ভেসে ভেসে কে হয়েছে কূল পাড়?  দুজন যদি একই মাটির গড়া, একই বিধাতার  তফাত কেন তবু বলো জীবন নদীর পারাপার!  আমার আছে যেটুকু দায় কাঁধে তুলে নিলাম তোমার বেলায় আমি সবি, বাদ'ই না হয় দিলাম, তুমি থাকো মহাসুখে আমার এইতো চাওয়া  ভুলে যেতে চাইবো আমি ভালোবাসার মায়া, আমি আজি বিদায় নিলাম কেবল শুন্য হাতে চাঁদ হয়ে আর আসিও না, জোৎসনা ভরা রাতে।