Posts

বিপ্রতীপ

 বিপ্রতীপ মোহাম্মদ মুছা  পাকা ধানে হানা দিলো পঙ্গপালের দল গোলায় ভরা হইলো না আর সোনালি ফসল, কানামাছি ভূ ভূ বর্গী মুচকি হাসে ঘরে ঘরে মঙ্গা হবে রক্ত খাবে চুষে, পঙ্গপালের সেনাপতি মহাজনের নাই'কো জুড়ি  রাক্ষুসে মন শান্ত মশাই আখের গোছায় তড়িঘড়ি,  বন্যা খরা ঝড়-ঝাপটা শত বাঁধা পেরিয়ে  তিলেতিলে গড়া দেশটা বিদ্বেষ দিলো ছড়িয়ে,  জাগো জাগো আমজনতা দেশটা আগে বাচাও থাকতে বেলা ছাড়ো হেলা পঙ্গপালদের তাড়াও।

অন্তর নির্বিকার

 অন্তর নির্বিকার মোহাম্মদ মুছা  স্বপ্নের ঘাড়ে চেপে রাত্রি করি পার প্রভাতে জাগিয়া দেখি অন্তর নির্বিকার, নগর জুড়ে কোলালহল আমি কেবল নিষিদ্ধ  অপরাধের হেতু জানি তাহাতেই আমি প্রলুব্ধ, হৃদয় আমার বাঁধনহারা তারে আজো খুঁজি ভালোবাসি তারে ভিষণ এইতো আমার পুজি, অন্ধকারে বন্দী আমি রুদ্ধ আমার ভুবন যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে সইছি রোজই শোষণ,

বিদায় ঘন্টা

 বিদায় ঘন্টা  মোহাম্মদ মুছা  কুয়ার ব্যাঙ  কুয়ায় লাফায় এতো তাহার জগৎ  বর্ষার জলে ঘরে কোণে  ঘ্যাং ঘ্যাং-ই  কণ্ঠাগত, এইতো গেলো ব্যাঙের গল্প এবার বলি দেশের কথা জারজেরা দল বেঁধেছে  লুন্ঠন করতে একাত্তরের স্বাধীনতা অত সহজ নয়রে জারজ মুখটা লাগাম ধর আমজনতা উঠলে জেগে  মুন্ডু হবে আলাগ ধর, জয় বাংলা ছিলো আগে এখনো তাই আছে লাফালাফি কমাও পিও বিদায় ঘন্টা বাজছে,

প্রত্যার্পন

 প্রত্যার্পন মোহাম্মদ মুছা  কি যেন কি নাই ; আমার এই বুকে হৃদপিণ্ডটা রক্তাক্ত ছিলো, দেখেছি তাহা তবে আলতো করে উপড়ে নিলো, মায়াবী এক আচঁড়ে অনুভবটা মৃত ছিলো এই কেমন হায় খোঁচারে? পিশাচিনী নয় সেই, নয়'তো কোন ডাইনি প্রেম জাগাতে যে এসেছিলো ; সেই মায়াবিনী, বুকে আজো রক্ত ঝরে ক্ষত কেবল বাড়ে হৃদপিণ্ডটা প্রত্যর্পনে ঘুরছি তাহার দ্বারে দ্বারে।

শরতের যাতনা

 শরতের যাতনা মোহাম্মদ মুছা  আমায় যদি নিবৃত্তে রাখতে চাও শরতের কাশফুল তোমার আঁচলে ঢাকো, শুভ্র সাদা মেঘ তোমার পাঁজরে বাঁধো কারন আমি যে উন্মাদ আমি যে বাঁধনহারা, পারবে কি?  নয়তো তুমি ফিরে আসো চলো দুজন শুভ্র সাদা মেঘের শেষ প্রান্তে কাশবনে লুটিয়ে পড়ি, আসবে? যদি বলো না, অতঃপর, আমি আর সইবো না আমি বিপ্লবী হবো অরণ্যে আর গগন বিনাশে।

কাঙ্ক্ষিত এক বিপ্লব

 কাঙ্ক্ষিত এক বিপ্লব, মোহাম্মদ মুছা  বেশ'ত আকাশে দেখি পাখিরা উড়ছে, মেঘ দৌড়ছে বজ্রপাতে মৃত্তিকার বুক কাঁপছে, বাতাসে পঁচা শিউলি, হাসনাহেনা মতো লাশের গন্ধও ভোঁভোঁ করছে মুহুমুহু আত্মচিৎকার অবলীলায় ঘুরছে ধোঁয়াচ্ছন্ন নীল শূন্যেই হামাগুড়ি দিচ্ছে নক্ষত্রের মতো অচেনা চেতনারা ঝিলমিল করছে শুকতার নির্দিষ্ট করা দূরূহ ব্যপার,   উল্কাপিণ্ড মাটি ভেদ করা সময়ের দূরত্ব মাত্র, গ্রহগুলো নির্দিষ্ট দূরত্ব ভুলে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে মহাকালের মহা মানবদের আত্মতুষ্টির বিসর্জন দর্শনে, সত্যি এক মহাবিপ্লব সাদা কাপনে মুড়িয়ে আছে, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডা হাতছানি দিয়ে ডাকছে, সত্যি এক মহাবিপ্লব রক্তে লাল মলাটে মুড়িয়ে আছে,

কদম ফুটেছে

 কদম ফুটেছে  মোহাম্মদ মুছা আকাশ যদি মেঘেলা থাকে  তাতে আমার দায় কী ? কেয়া ফুটেছে কদম ফুটেছে  ঘরে থাকা যায় কি ! মন মেতেছে প্রেম জেগেছে  আমার করার আছে কী ? আষাঢ় শ্রাবন প্রেমের পাবন হাতছানি দেয় রজনি । আকাশ যদি মেঘলা থাকে  তাতে আমার দায় কী ?  মেঘের কোলে হেলেদুলে  মন ছুটেছে, বেঁধে রাখা যায় কী ?

অবসাদ

 অবসাদ  মোহাম্মদ মুছা অবান্তর; অন্তর নিয়ন্ত্রিত অবাধ আঁধারে নির্বোধ, পৃথিবীর মায়া বাড়ায় জগত সংসারে ক্লান্ত; আমি ছুটতে নাহি আর চাই রাজ্য;  করিস না আমায় দায় অনিবার্য, শান্ত সকাল ও তপ্ত দুপুরে গড়াই তেপান্তর; কিসের লাগিয়া এতো বড়াই ভূখন্ড;  নিরাশ আমি কবু নই সীমানা; অবহেলা আমি সবি সই রীতিনীতি; করবো সবি ভেঙে চুরমার অহংকার; তার যত অভিলাষ আমার

অবলোপন

 অবলোপন  মোহাম্মদ মুছা মরুর বুক ছিঁড়ে দেখা হলো না কারো, কেবল উষ্মা দেখে নিষ্প্রাণ তকমা লাগিয়ে দিলো, দায়মুক্ত হলো কে, দিবাকর?  বাষ্পীভূত জল আকাশের প্রান্তরে দিশেহারা মেঘেরদল শুন্যর মাঝে ক্ষণিকের বসবাস।  জল ঝরে তবুও মরুর বুকে হাহাকার  এতো জল, ঢেউ, তরঙ্গ গেল কই কেউ'তো একজন ঘাপটি মেরে আছে, নেপথ্যে!  তাকে আর বেশিকিছু বলার নেই  শুধু বলি; মেঘের সাথে নিকাশ চুকিয়ে যায়নি আমার এতো চোখের জল বাষ্প কি হয়নি? আকাশটারে বলি তাই আছি আমি তোর দেনাদার।

তুমি আসবেই

তুমি আসবেই মোহাম্মদ মুছা তুমি অপেক্ষায় রেখেছো আমায় আমি তাতে সানন্দেই আছি, কখনো রাতের জোছনা কখনো রংধনু, আবার কখনো নীল আকাশ, আমায় অনুপ্রেরিত রাখে, বহমান থাকি পুনরুত্থানের, তুমি আসবে, তুমি  আসবেই তুমি আসবে বলে পদ্ম পাতায় জল, ঘাসের ডগায় শিশির থমকে আছে  অরণ্য উলঙ্গে প্রলাপ কাটে ছুঁতে পারেনি বসন্ত পুষ্পরাজি কলিতে স্থবির মেলেনি পাপড়ি যদি খানিক বিলম্ব হয় তোমার পদচারণ, সম্ভাষণে যেন খামতি না হয় তাই এতো নিশ্চল, তুমি আসবে, তুমি আসবেই  শুনো ওগো মোর নীলিমা, হয়তো পথ ভূলে,নয়তো কূল হারিয়ে,  হয়তো প্রেম স্রোতে, নয়তো উন্মাদ হয়ে তুমি আসবে, আসবেই

অতৃপ্ত বাসনা

 অতৃপ্ত বাসনা মোহাম্মদ মুছা হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে তোমার ফুলদানিতে রেখে আসি? অহেতুক কথার কথার নয়, ভালোবাসা আর মায়া একই ধারে প্রবাহিত হলে ঘুর্ণিমান পৃথিবী স্থির করা যায়, উল্কাপিণ্ড মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা যায়, যুদ্ধ জয়ে বীর উপাধি বাহুর লীলা, মনের লীলা প্রিয়সীকে আত্মসাৎ করা আমি আর তুমি মহাকাশের অভিযাত্রী নয়, দেখা হবে ভুবনের অজানা কোন প্রান্তে অবিরত নিসৃত বিষাক্ত নিঃশ্বাস তোমাতে ছুঁয়ে যাবে, দিকবিদিক শুন্য কেবল শুন্যই রবে, তোমার ধিক্কার আমি মাথা পেতে নিবো অতঃপর তোমায় নিয়ে ফিরবো আমার কাননে,

কালের বিবর্তন

 কালের বিবর্তন  মোহাম্মদ মুছা ভাবতে হবে নিজেকে নিয়ে,  এইভাবে এই যুগে চলে না পরিপাটি পরিবর্তন সময়ের দাবী, তোষামোদি কর করতে হবে যোগ্যতা তোমার আছে ঠিকই  তোমাকে বাছ-বিচার করার ক্ষমতা তাদের নেই, সেটি তাদের পারদর্শিতা, আর তোমার ব্যর্থতা। আর তুমি সেইকেলে  বাজারে মূল্য ততোটা নেই,  তুমি ভাব'ছো  পরিবর্তন হবেই, হয়েছে তো, শতাব্দীর ব্যবধানে, অপেক্ষায় থাকো আরেকটা বিপ্লবের! ভাবছো'টা কি? আয়ু!  না, তা ভুল  মরোন্তোর বাহ্ বা পাবেই  পুষ্পমালার পাহাড় হবে অন্তিম যাত্রায়, ভেবে দেখো নিষ্ঠার পুরুষ্কার এটাই ; এটাই জগৎ, এটাই ক্ষেত্র, এটাই আর্শিবাদ, পেছনে থাকালে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা, এগিয়ে চলো নির্লজ্জতা সঙ্গী করে  তাহলেই তুমি পারবে, না হয় স্বপ্ন'ই বিভোর থাকো দেখবে একদিন তুমি নিঃবস্ত্র, অনেকটা উলঙ্গ মাজা ধসে; দু'হাতে প্যান্টের ভারসাম্য রক্ষায় অবিচল সংগ্রামে ন্যাস্ত!

তোকে ভিষণ খুঁজতে ইচ্ছে করে

 তোকে ভিষণ খুঁজতে ইচ্ছে করে মোহাম্মদ মুছা তোকে ভিষণ খুঁজতে ইচ্ছে করে, ব্যাকুল হয়ে শূন্যের মাঝে থমকে থাকি এইভাবে আর কত দিন; প্রেমের সাথে মনের লড়াই।  ন্যায্যতা বলতে তোকে দূরে রাখা অন্যায় ভালোবাসার অভিধান তাই বলে,  সর্বস্বান্ত হয়ে এখন আমি নিরুপায় তোকে লুটে পৃথিবীকে ধ্বংস করতে চাই বিরহের দোয়ারে সভ্যতা আতিশয্য বেমানান   তোকে ভিষণ খুঁজতে ইচ্ছে করে,

জাগো

 জাগো মোহাম্মদ মুছা সমাজটা আজ রসাতলে হায় হায় করে সব বাহুর বলে সবি চলে এখন এটাই গৌরব,  বীরেরা সব ঘুঙুর করে; ঘরে কোণে বসে বর্ণচোরা লাট হয়েছে জাত গেলোরে মিশে, দাদা গিরির বাড় বেড়েছে অসৎ লোকের ছায়ায় চুনোপুঁটি শৈল হয়েছে ব্যাঙে বাজায় সানাই, কারো রে ভাই দায় পড়েনি চাবুক হাতে নিতে ঠাকুর ঘরের কলা খেতে গাড় ছেপেছে ভূতে, এমন বেলায় দু’পা দোলায় তালে যারা চলো আমজনতার ঘোর কাটিলে পালাবে কোথায় বলো? হাতছানি দেয় অমাবস্যা আঁধার সন্নিকটে  বিপ্লবীরা এক হলে ভাই মরুতেও ঢেউ উঠে।

বদলে যাবে দিন পঞ্জিকা

 বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা  মোহাম্মদ মুছা  পুরাতনকে বিদায় দিয়ে  করবো নতুন বরন হৈ-হুল্লোড়ে সাজ গোজিয়ে চলবে কতো মহারন, ভূলে গিয়ে হানাহানি  রইবো সবাই মিলেমিশে  নয়তো অতীত টানাটানি  খুঁজবো নতুন দিশে, এমন বানী সবার মুখে আজি মিলবে অহরহ   একটা দিনের ব্যবধানে  রাখবেনা কথা কেহ, বিধায় কিংবা বরণ বলি তাতে করি পন দিন বদলের মুখে কলি বদলায় না তো মন ;  বদলে যাবে দিন-পঞ্জিকা  এর চাইতে বেশি কিছুতো নয় স্বাদের জীবন হয় জটিকা ভাবনাটা; ভাবনা হয়েই রয়!

অতল মোহ

 অতল মোহ মোহাম্মদ মুছা ফিরে ফিরে আসো স্বপনে মোর বারবার ভুবন আমার নিমিষেই হয়ে যায় ছারখার প্রেম বিরহের কামনায় মরি আমি  যাতনায়  ছুঁয়ে ছুঁয়ে তোমায় পতিত হয়ে কোমায়,  বুকের মাঝে কেবল অবিরাম অবিচল স্পন্দন শুনেনা কেহ নিবৃত্তের নিদারুণ স্তব্ধ ক্রন্দন তরঙ্গ বিহীন অচল আজি মোর দেহ কাটেনি তবুও লোলুপ হৃদয়ে তোমার মোহ ।

নীরব ঘাতক

 নীরব ঘাতক মোহাম্মদ মুছা শহীদের রক্ত নিয়ে তারা রং তামাশা করে এরা নব্য রাজাকার, মুক্তকণ্ঠে মুক্ত হাওয়ায় সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়  এরা নব্য রাজাকার, ঘুনে ধরা চেতনায় এরা আসক্ত এরা নব্য রাজাকার এরা হিংসুটে হীনমন্যতায় ভুগছে এরা নব্য রাজাকার, অপশিক্ষা বিকৃত ইতিহাস এদের সম্বল এরা নব্য রাজাকার গুজবে শক্তিতে ওরা বলিয়ান, এরা নব্য রাজাকার, নীরব ঘাতক এরা রদ্রে রদ্রে ঘাপটি মেরে আছে  এরা নব্য রাজাকার, খুঁড়ে খুঁড়ে নিঃশেষ করছে লাল সবুজের অর্জন এরা নব্য রাজাকার, এদের অন্তরজ্বালা মুক্ত বাংলা কেন দূর্বার  এরা নব্য রাজাকার, গর্জে ওঠো একাত্তরের চেতনায় বাংলার বুকে যেন আঁচড় না লাগে নব্য রাজাকারের থাবায়।  জয় বাংলা

তুমি প্রলুব্ধকারিনী

 তুমি প্রলুব্ধকারিনী মোহাম্মদ মুছা তুমি প্রলুব্ধকারিনী, ক্ষুব্ধ ঢেউয়ে টেনেহিঁচড়ে অতলে তলিয়ে যাওয়া আমি ভেলারোহী নই তুমি গভীরে আছো বলে আমি চির অপরাধী  তুমি প্রলুব্ধকারিনী, হাজারো জোতিস্কো,গ্রহ,উপগ্রহে খুঁজতে খুঁজতে তোমায়: বেলা আজ অবেলা আমি থামিনি বলে  আমি চির অপরাধী!

তপ্ত স্নাত

 তপ্ত স্নাত মোহাম্মদ মুছা  আমার দখলে তোমার চারিপাশ তোমার প্রতিটা নিঃশ্বাস আমায় জ্বলসে দেয়  শ্রান্ত ক্লান্ত অনুভূতি গুলোও টকবক টকবক করে শিরায় শিরায় তপ্ত রোদ্রের মতো দাহ করে পুরো অঙ্গে তখন আমি আপ্লূত তখন আমি সিক্ত স্নিগ্ধ ব্যথাগুলো মিশে যায় বাতাসে, বেদনা ভালোবাসার এপিট ওপিঠ তাই বলেতো আজো অপেক্ষায় তোমার চারপাশ জুড়ে গড়ে তোলা আমার প্রাচীর তুমি ভাঙতে পারবে না না কখনো না, আরো বহুকাল জ্বলসে থাকলেও তোমার নিঃশ্বাস অঙ্গে মাখাবো ভালোসার দাবীতে, নির্মল প্রশ্বাস যখন তোমায় ছুঁয়ে দিবে, তখন তুমি ফিরবে আমার হয়ে, কেবল আমার হয়ে,

বিলম্ব প্রসূতি

 বিলম্ব প্রসূতি মোহাম্মদ মুছা  যাক এই বছর কেটে যাক থেকে যাক কিছু দাগ,  না পাওয়ার আকুতি ব্যকুতি, আমি না হয় থাকিবো আজীবন প্রসূতি! স্বপন গর্বে স্বপ্ন গর্ভে যাতনা বেচিবো অতিব সুলভে, খরিদ্দার নির্বার আসে যায় বারবার মূল্যহীন আমি দরাদরি বারবার! বাবাজান দোয়া দেন আরেকবার হয় যেন বেচে-কেনা আগামী হাটবার,

নিদারুণ নিষ্ঠুর

 নিদারুণ নিষ্ঠুর মোহাম্মদ মুছা  বলনা আমায় কাঠফাটা রোদ্দুর শীতল ছায়া আর কতদূর, আমার শহর উপতপ্ত বেদনায় বিধুর নয়নে জল অভিশপ্ত কন্ঠে ঘুঙুর, অন্তর পুড়িয়া মোর ক্ষণভঙ্গুর  হৃদয় তাহার কেন এতো নিষ্টুর! উতলা আমি হয়েছি বিভোর কতো প্রহর নির্ঘুম হয়েছে নিশিভোর, অথচ সেই মহাচোর মনচোর  হেসে খেলে দিব্যি মহাসুখে টইটম্বুর,

নীরব দাবানল

 নীরব দাবানল মোহাম্মদ মুছা  চলনা দু'জন পাশ কেটে যায় এই শহরের নীতি ভালোবাসার পুষিয়ে দিবো দালান কোটার ক্ষতি,  জরাজীর্ণ এই শহরে গড়ছি রোজই ব্যবধান তোর বিহনে আকাশ ভাঙ্গে বসন্ত হয় ম্লান।  বহুদূরে দূর হতে দূর লোকান্তরে দু'জন মিশে যাই দু-হাত পেতে আছি আজো আয় না প্রিয়া আয়, অষ্টপ্রহর সইছি জ্বালা ঝরছে চোখে লোনাজল বুকের মাঝে দাউদাউ জ্বলে নীরব দাবানল!

নিরাশার কাব্য

 নিরাশার কাব্য মোহাম্মদ মুছা  দু-চোখ জুড়ে ঘন-কালো মেঘের তড়িঘড়ি বৃষ্টি আসুক আর নাই আসুক আষাঢ়ের কাব্য হয়ে হৃদয় উচাটন, গোধূলির কি দোষ বলো স্বপ্নতো আমারই চোখে, পৃথিবীটা এমনই নীরবে নিবৃত্তে শীতের ঝরা পাতার মতো স্বপ্নগুলো ঝরিয়ে দেয়, না, আমি উলঙ্গ বৃক্ষের মতো তীর হয়ে বসন্তের আশায় আর রইবো না, কতো বসন্ত ধোঁকা দিলো! বরং  পুঁজিবাদের এই শহরে স্বপ্নগুলো বেঁচে দিই।

যাতনার মেলা

 যাতনার মেলা মোহাম্মদ মুছা   ভিষণ খরায় বুকটা চৌচির খাজনা তবুও নিলে বাঁধ ভাঙা ঢেউ নিমিষেতে ফলন খেলো গিলে, আঁচল বাঁধা সুখের চাবি তালায় ধরলো জম সিধুর খানায় গুন ধরেছে নিচক বাড়ে ধম, ঘোলা আমার খালি এখন মঙ্গা এলো প্রবল স্বপ্ন আমার কেঁড়ে নিলো পঙ্গপালের দল।

বিপ্লবী প্রেম

 বিপ্লবী প্রেম মোহাম্মদ মুছা  তুমি যখন মগ্ন আছো  স্বর্গ ছুঁবে বলে আমি তখন পাপ খুঁড়ে যায় খেয়াল খুশির ছলে, কে দেখাইলো স্বপন মোরে চন্দ্র সুরুজ জানে যতোই তুমি আড়াল রাখো প্রেম'তো আমার প্রানে, প্রানে যখন বিপ্লব জাগে নাহি বাঁধা মানে অবাধ শোষণ বধ করিতে   তুমুল আঘাত হানে।

অজ্ঞাত প্রান্তরে

 অজ্ঞাত প্রান্তরে মোহাম্মদ মুছা  তুমি নিয়মনীতির যাঁতাকলে পিষ্ট, তবু্ও তুমি মুক্ত অন্যদিকে আমি নিজেকে মুক্ত রেখে পরাধীন! বিষ্ময়কর বটে, তুমি স্বর্গের খোঁজে মগ্ন আমার তো তেমন কিছু খোঁজা হয়নি, তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে পথভ্রষ্ট  এটা কি নরক,বলতে পারো? তুমি যে অন্ন ভক্ষণ করেছো আমিও তাই,  তুমি যে জলে পরিতৃপ্ত সেখানে ও আমি ভিন্ন নই, যে বায়ুতে তোমার ফুসফুস প্রসারিত আর সংকোচন আমরাও তাই! দিনের আলো রাতের অন্ধকার ভিন্ন কিছুতো নই তোমার- আমার, রবি শশী পৃথকীকরণ করেনি দু'জনের বেলায়,  পৃথিবীর বুকে তেমন কিছু খোঁজে পাইনি,যা শুধু তোমার আমার নই,নতুবা আমার তোমার নই, তবে কেন আমার একার দায়, আমি মুক্তিকামী নই,আমি বিপ্লবী  তোমাকেও মুড়িয়ে দিবো পাপের চাদরে,  যদি বলো ভালোবাসা অন্যায়!

অভিসারী

 অভিসারী  মোহাম্মদ মুছা  কখনো কখনো থমকে যায় নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্নগুলো বারবার জাগরিত করে, কেউ কি কখনো দেখেছো?  বুক ছিঁড়ে স্মৃতি বের করা যায়; না, তা কখনো সম্ভব না, পৃথিবীর সবার মতো আমিও মানুষ,  স্মৃতি সাথে বসবাস, সখ্যতা, আর কতো কি, বেঁচে থাকার গল্প এখানে শেষ নয়, শেষ নয় স্বপ্ন লালন, শেষ নয় প্রহর, বসন্তের পর বসন্ত আসবেই, আর তেমনি তুমিও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে, ভেবে দেখো, তৃপ্তির ঢেকুরে উন্মাদ হয়ে অন্যর অধিকার হরন করছো, অভিশপ্ত তৃপ্তি তোমায় আচ্ছাদিত করেছে নীল বিষের ছোঁয়ার যন্ত্রণা তোমাকে আবার ফিরে আনবে অবিভক্ত ভালোবাসার কুঠিরে,

অবান্তর নোঙর

 অবান্তর নোঙর  মোহাম্মদ মুছা  নিশিতে পারিনি আজো পুষিতে নিজেকে  কারণে অকারণে পরানের বিকিরনে, পারিনি বদলাতে হারিনি অন্তর্ঘাতে কষ্টের মেলায় বেলা অবেলায়। অবান্তর, অন্তর নিয়ন্ত্রিত অবাধ আঁধার ভাবনাটা জটিল হলো, কঠিন ছিলো যাতনা নীরব স্রোত দু-চোখে বয়ে চলেছে ভাঙছে রোজই কতো কূল!  বুকের পাঁজর হলো পাথর অনল বসত নির্বিকার, তাইতো বুঝি আজো খুঁজি হারানো পথ বারেবার।

অবিচ্ছেদ্য সত্য

 অবিচ্ছেদ্য সত্য মোহাম্মদ মুছা  মুগ্ধ মোহে নির্মল শ্বাসে বুক চিতিয়ে আছো লুট করা সুখ মিছেমিছি কার দুয়ারে বেঁচো? মাতাল চোখে স্বপ্ন তোমার রঙিন সবি দেখো হৃদয় ভাঙ্গার নয়ন জলে সুখের তরী ভাসো।  সুহাসিনী মায়াবিনী কাটে না মোর প্রহর বুকের মাঝে বয়ে বেড়ায় নীল বেদনার বহর, আজো আমি মগ্ন আছি মাতোয়ারা মন এই কেমন খেলা ধ্বংসলীলা পুড়ছি সারাক্ষন!

নীরব ঘাতক

 নীরব ঘাতক মোহাম্মদ মুছা  ঘুরছে ফিরছে চলছে মানুষ ভিতর বুঝা দায়! করছে জৌলুশ উড়ায় ফানুস  সুখে থাকতে চায়, দগ্ধ হৃদয় বুকের ভিতর  তবুও রোজই অভিনয় হচ্ছে খতর হয়না নিথর  শত ব্যথা সয়, আলোর সাথে আলোর মেলা আঁধার কেন তফাত আমার বুকেও একই জ্বালা  স্বপ্ন বাড়ায় আঘাত,

অমৃত ভালোবাসা

অমৃত ভালোবাসা  মোহাম্মদ মুছা  হৃদয়ের ক্ষত অবিরত করছে বিনাশ স্বপ্ন যত, দিন চলে যায় রাত থেমে যায় কাঁদছি রোজই ইচ্ছে মত নয়ন জলে অথৈই কূলে ভাসছে বুকটা প্লাবন বলে ঘূর্নিপাকে বজ্র ডাকে দিশেহারা সব কূল ভাঙে।  কোন কোলেতে নোঙর পেতে ধীর হয়ে যে রই! আমার প্রিয়া আপন ছায়া কি করে তা সই?  আসুক জোয়ার পড়ুক ভাটা ভাবনা নাইতো ছিটেফোঁটা আগ্নেয়গিরির লাভা জ্বলুক দাবানলে বসত পুড়ুক।  ভূমিধসে আপন রোষে ভূতল ভরে যাক আকাশ ভেঙে তারা ঝরে মহাকাশটা শূন্য করে, চন্দ্র-সুরুজ সকল বহর গিলে ফেলুক কৃঞ্চগহ্বর  যাক সবি যাক রসাতলে নিয়ম-নীতির যাঁতাকলে।  না হয় যদি ভোর কখনো জোছনা ভরা রাত পোহানো তাতে আমার কি আসে যায় ভালোবাসা বিনাশ বেলায়! তোমায় ছোঁয়ার মন পিপাসা কেবল আমার ভালোবাসা স্নিগ্ধ মুগ্ধতায়  জেগে থাক জেগে থাক।

আঁধার নিস্তার

 আঁধার নিস্তার মোহাম্মদ মুছা  আকাশ তোমায় হাত পেতেছি চাঁদখানা ধার দিবে? বুকের ভিতর কাঁপছে থরথর জোছনায় যেতে ডুবে।  ঝিলের জলে স্বর জমেছে পদ্ম ছায়া আড়াল, স্বপ্ন আমার ডানা মেলে শূন্যে দিলো উড়াল।  উড়তে থাকুক ঝরতে থাকুক ডানা ভেঙে পালক, মনটা উদাস হলো বিনাশ দুলছে যখন দোলক।

অকাল বেলা

 অকাল বেলা মোহাম্মদ মুছা  তুষের আগুন বুকে চাপা            রুদ্ধ আমার বাক, কাঁদছে কাঁদুক নয়ন দুটি          বুকটা চুপসে থাক।  আঁধার আলো সাদা কালো             তফাৎ নাইতো আর, তোরে ছাড়া ভুবন আমার            নিছক বদ্ধ কারাগার।  বেলা গেলো ছলে ছলে          থমকে আছে পথ, কেয়া আমার নোঙর ছিঁড়ে            গাঙ করিলো বদ।

রোদসী

রোদসী মোহাম্মদ মুছা  আহত চোখে তোমাই দেখি, বারবার খুঁজি আর দেখতেও পাই, তুমি মোড়ানো থাকো কোন এক প্রথার আবরণে, তবে চোখ দুটো তোমার তথাকথিত প্রথা বিরোধী, আমায় ডাকে, আমার উত্তাল করে, তুমিও জানো আমি অগস্ত্যযাত্রার পথিক, অনুক্ত কোন কিছুতে আমার বাড়াবাড়ি নই, অনুদিত সূর্য কিভাবে তপ্ত ছড়ায়  তা নিয়ে বিচলিত।  তোমার প্রেষনা আমাকে জাগ্রত করেনি, ঈপ্সা থেকে ভালোবাসা জন্মায় না, ভালোবাসা বিভোর করলে ঈপ্সা ক্রান্ত করে পৃথিবীটা অবিচার্যই বটে, এতোকিছু ক্ষয়ে গেলো অথচ পৃথিবীতে গতি আগের মতোই, উদগীর্ন ভালোবাসা আমাকে বিদীর্ণ করেছে, সত্যি আমি হতভম্ব নয়, ভালোবাসায় এমন হয়, তুমি প্রথার ছাদরে মুড়িয়ে থাকো,তাতো কি, আমি উষর মৃত্তিকার বুকে দাঁড়ায়নি, এখানে ফলে ভালোবাসা, অনুভূতি, আর শিহরণ, যা আমাকে জাগ্রত রেখেছে দিগন্তের দ্বারপ্রান্তে, তুমি দেখবে কি করে তাতো রোদসী!

কদম ফুটেছে

কদম ফুটেছে  মোহাম্মদ মুছা  আকাশ যদি মেঘলা থাকে তাতে আমার দায় কী? কেয়া ফুটেছে কদম ফুটেছে  ঘরে থাকা যায় কি! মন মেতেছে প্রেম জেগেছে আমার করার আছে কী? আষাঢ় শ্রাবন প্রেমের পাবন হাতছানি দেয় রজনি, আকাশ যদি মেঘলা থাকে তাতে আমার দায় কী? মেঘের কোলে হেলেদুলে মন ছুটেছে বেঁধে রাখা যায় কী?

অযুক্তিক অন্ধকার

 অযুক্তিক অন্ধকার  মোহাম্মদ মুছা অন্ধকার আমার কাছে নতুন কিছু নই, তবে ভোগান্তির মাত্রা একটু ভাবিয়ে তুলেছে, এখন আর ভোরের প্রত্যাশায় বারবার ঘড়ির কাটা এগিয়ে দিই না, অন্ধকার থাকুক, থাকুক হুতোম প্যাঁচার ডাক, থাকুক খসে না পড়া তারা গুলো, বিরতিহীন অন্ধকারে আলোর খুঁজে নিঃস্ব হওয়া নিছক প্রত্যাশা, নির্বিকার সময় নেহাৎ সস্তায় আবেগ বিকিয়ে দেওয়া যদি প্রেম হতো, আমি সেই কবে তোমার হাত ধরে জোছনায় মিশে যেতাম, মাঝে মাঝে পথের বাঁকে নিজে ছায়াটুকু ও খোঁজে পাইনা, খন্ড খন্ড অগোছালো সাদা-কালো মেঘ অন্ধকারে মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তুমি একবার ভেবে দেখো এতো অন্ধকার অযুক্তিক নয় কি?

জীবন প্রত্নতন্ত্ব

 জীবন প্রত্নতন্ত্ব মোহাম্মদ মুছা  বলা হয়নি যে কথা আজীবন হৃদয়ের স্তুপে জমা থাকবে,  পৃথিবীতে নিস্তব্ধতা মানে জীবন, চোখবুঁজে শয়ে থাকা সমাজিক শিষ্টাচার,  ধুঁকে মরার ধৈর্য যদি ধার্মিকতা হয়  আমি একহাত দিলাম, ভালো থেকো সাথী কৃত্রিম সুখে! আমার, জগতের চারিদিক স্বর্গমর্ত্যের অভিচারিণী, পৃথিবীতে সবার চাওয়া ইহকাল কিংবা পরকালের শান্তি! নির্বোধ; চাহিদা ব্যপ্ত জীবন কাকে কি দিয়েছো বলো? আমি মাথা পেতে নিবো, যদি বলো আমি সুখী,  এটাই জীবন যেখানে অপূর্নতা সঙ্গী, ভূলে যাও,ভুলে থাকা যদি শান্তি হয়, তাহলে ভিন্নতার সংজ্ঞা খুঁজবে কে? মান্যতা সকল সুখ আর আনুগত্য প্রশান্তি, এটাই জীবন, শেষ নিশ্বাস অব্দি  নির্জনতা আর কোলাহল দুটোরই তফাত চাহিদার সন্ধি  ভালো থেকো আপনার চিন্তা বোধে,

বিদ্বেষ ব্যাপারী

 বিদ্বেষ ব্যাপারী মোহাম্মদ মুছা  এই শহরে ধুম পড়েছে বেচা-কেনা খুব জমেছে হচ্ছে ভালো সদাই, ওরা ধর্ম বেচে খায়!   আজব গুজব কাথার জালে মানুষ নাচায় তালে তালে বিদ্বেষ দিয়ে ছড়ায়, ওরা ধর্ম বেচে খায়!  বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়েছে  আত্ম সত্তা শির নুয়েছে জ্ঞান গুমোট তন্দ্রায়, ওরা ধর্ম বেচে খায়! সহজ-সরল ধর্মপ্রানে তর্ক ছড়ায় পাপীজ্ঞানে আপন ফয়দা লুটায় ওরা ধর্ম বেচে খায়! এই শহরে ধুম পড়েছে  বিদ্বেষ ব্যাপারী বাড় বেড়েছে অন্তর জ্বলে ঘৃনায়,

আষাঢ়ের কাব্য

 আষাঢ়ের কাব্য  মোহাম্মদ মুছা  অতি বন্যা দেখেছো ভারী বর্ষন দেখোনি, মেঘের গর্জন শুনেছো আকাশের কষ্ট বুঝনি, বুক পাটা কান্যা এমনই বুঝি হয়; নিজের নিস্তরঙ্গ দেখাতে গেলে অন্যকে প্লাবনে ভাসাতে হয়, কার কি ভেসে গেলো কে অঝোরে রিমিঝিমির প্রশান্তুি পেলো, তা আষাঢ়ের গল্প নয়! আষাঢ়ের গল্প  কাঁদবো অবিরাম কাঁদবো যতদিন কদম না ঝরে, পল্লবিরা নিঃসঙ্গ না হয়,

সর্বনাশা শহর

 সর্বনাশা শহর মোহাম্মদ মুছা  বাড়ছে অপেক্ষার প্রহর  মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়েই গেলো আমাকে আমার শহর, কত কিছু'তো হলো লাল-নীল নিয়ন বাতি  হরেক রকম আলো! সারি সারি রাজপথ  ঘুরছে মানুষ দৌড়ছে গাড়ি করছে কামাই জহরত, আকাশচুম্বী দালান-কোঠা বুক চিতিয়েই আছে আমার শহর আমায় কেবল আশ্বাস দিলো মিছে, শৈশব খেলো কৈশোর খেলো যৌবন নিয়েও তামাশা বুক ফেটে যায় এই নিরাশায় এই শহরই সর্বনাশা!

প্রত্যর্পন

 প্রত্যর্পন মোহাম্মদ মুছা  পোড়া মাটির ধূসর এক শহর পিছু টানে, অবান্তর নয় কি? চলতে চলতে বহুপথ পিছনে ফেলেছি তবুও পিছু টানে, অবান্তর নয় কি? অবশ্রান্ত হৃদয় রক্তস্নাতে রক্তিম মেঘ হয়ে খসে পড়ার অপেক্ষায় তবুও পিছু টানে, অবান্তর নয় কি? প্রেম অবিরাম, অবিনশ্বর জাগ্রত করে যায় বারবার, অপূর্ব এক যাতনা, সংকট বুঝে-না, বুঝে-না অবিন্যস্ত স্বপ্নের ধ্বংসযজ্ঞ, কতো হাহাকারের আদলে বিচূর্ণ ললাটে শ্যাওলা জমেছে!  তাতে কি? অবান্তর হলে হোক এই শহরেতো তোমারই বাস, আমি ফিরছি আবার, পোড়া শহর, ধূসর শহর, স্বপ্নের ধ্বংসযজ্ঞ,ললাটে শ্যাওলা, সবি মাড়িয়ে দিবো, জড়িয়ে দিবো তোমারও গায়ে, আমি পিছনেই ফিরে আসছি, তুমি কেবল অপেক্ষা করো, অহমিকা গুড়িয়ে দিয়ে তেপান্তর হবো তোমায় লুটে,

স্বপ্নের বুকে

স্বপ্নের বুকে মোহাম্মদ মুছা  পৃথিবীটা স্বপ্নময় স্বপ্নের ছড়াছড়ি আমার চাওয়ায় হলো কেবল একটু বাড়াবাড়ি, হেঁটেছি বহুপথ ফিরেছি বারংবার হলোনা বাঁধা আপনার সুখের সংসার, স্বপ্নের বুকে বিধিলো বিষ মাখা তীর পাখির ডানায় সোনালি রোদ্দুর খুঁজে পায়নি নীড়, পথে প্রান্তরে ঝরাপাতা ধমকা হাওয়ায় উড়ে চোখের স্বপ্ন বুকের মাঝে লাভা হয়ে পুড়ে,

বিহ্বলতা

 বিহ্বলতা মোহাম্মদ মুছা  কষ্টে ধুঁকছে মন নষ্ট চিন্তাধারা, আপনারে রেখে গোপন হয়ছি পথহারা।  নষ্ট আমি কষ্ট বুকে তোরই ছবি আঁকি, সেই ছবিটা চোখে চোখে আট প্রহরেই রাখি।  বেহুলা মন যখন তখন  তোরে একটু ছুঁয়ে অন্ত-চক্ষুর নীরব রোদন বেদনা যায় ধুয়ে!

বেলা বয়ে যায়

 বেলা বয়ে যায়  মোহাম্মদ মুছা অবিরত হচ্ছে ক্ষত মহাকালের কাব্য যত, ছন্দ হারা জলধারা  মহাসাগর পুড়ছে খরা, আয়না ফিরে আয় ; কালের পরে কাল তোর'ই মায়া জাল,  বসত করে বুকে মারছে আমায় ধুঁকে, আয়না ফিরে আয় বেলা বয়ে যায়।

বসন্ত আজি বসন্ত

 বসন্ত আজি বসন্ত  মোহাম্মদ মুছা বসন্ত আজি বসন্ত  চিত্ত হলো মত্ত, বেদনা সব উড়িয়ে দিলাম যা ছিলো নিরুক্ত।  পলাশ শিমুল কৃষ্ণচুড়ায় রুদ্ররোষে অঙ্গ পুড়ায়, জরাজীর্ণ যতো ছুঁড়ে দিলাম বিবাগী মন ক্ষনে ক্ষন রঙে রাঙায়। বসন্ত আজি বসন্ত  জাগিলো আজি প্রেমোসত্ত্ব, শুভ্র সুবাসে স্বপন শিহরিত  ভুলে যাবো অতীতের যতো ব্যর্থ।    "বসন্ত আজি বসন্ত"

ভুবনমোহিনী

 ভুবনমোহিনী  মোহাম্মদ মুছা আমার শহরজুড়ে অন্ধকার,আমি আঁধারের ফেরারি, চাঁদের আলোয় তারা গুনি, অমাবশ্যায় বিচলিত প্রানে ছুটি এদিক ওদিক, গ্রাস হলো নিয়তি, তুমি ভুবনমোহিনী সুখের চাদর মুড়িয়েছো গায়ে, কোমল নির্মল শিরশির হাওয়ায় মুগ্ধ, চোখের দূরত্বে খুঁজে বেড়াও ধুমকেতুর দিগন্ত।  অথচ আমি বিবর্ন, বিবর্তনের বিরূপ বিধানে, প্রহর প্রহসনের আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত, নিদারুণ নিষ্ঠুর নিবারন সয়ে চলেছি প্রতিনিয়ত, বলতে পারো আমি কেন তুমি নয়? তোমার মতো স্বপ্ন বিলাশের বিমোহিত হয়ে বিনয়ী নয় কেন; তুমি জানো, আমারও জানা কমতি নয়, অবলীলায় অবন্তী তুমি বিধির কল্যানে, তুমি চাইলে অবরুদ্ধ স্বরে বলতে পারো ভালোবাসা সময়ের কিঞ্চিৎ অনুভূতি অনভিপ্রেত মোহ, তবে কেন আমার বেলায় অভিন্ন নয়; হ্যাঁ আসলেই তাই, তাইতো ধুঁকছি ; ভালোবাসা আর মুগ্ধতা একাকার করেছে আমায়, নীরব নিভৃতি থাকা যায়না, আঘাতের পর আঘাত হানা দেয় অন্তরে, অন্তর তা তুমি বুঝবে কি? তোমার তো আছে বিধির লীলা, অবিনশ্বর অভিলাষ পরমতীর্থ অনায়াসী তৃপ্তি, আর আমার সেই কবে- তৃপ্তি গেলো পরবাসে, তোমার অভিজাত্য আধিপত্য শোষণে, শোষিতের প্রেষনা বরাবরেই লাঞ্ছিত, তোমার তাতে কি আসে যায়, ...

কষ্টের আড়তদারি

 কষ্টের আড়তদারি মোহাম্মদ মুছা তুমি কাঁদছো কেন চোখের জল মুছে দিই?  না, কষ্টগুলো জল হয়ে চোখ দিয়ে ঝরতে দাও, না, আমি তা চায়না তোমার চাওয়া না চাওয়া আমার কিছু যায় আসে না,  আমি কাঁদবো আরো কাঁদবো  অবিরত চোখের জল ফেলবো জল নাকি যেদিকে গড়ায় সেই দিকে নদী সৃষ্টি হয়, যে নদীর মালিকানা হবে তুমি আমার কেবল উত্তাল ঢেউ, কূল ভাঙবে ঢেউয়ের আঘাতে যা দেখে তুমি অস্থির হবে,  বসত বাড়ী কেমন রুখবে? আমি মানে আমার জল তোমায় নিঃস্ব করবে হবে ফেরারি  অবশেষে জানবে কেন আমি করি                        কষ্টের আড়তদারি।

আসলে কেন?

 আসলে কেন? মোহাম্মদ মুছা তুমি কি তাই           কর বড়াই? দিয়েছি বলে         দু হাত বাড়াই, নিব হিসাব        কানাই কানাই বসলে কেন?        দু ছোখ জোড়ায় হাসলে কেন?         দু ঠোঁট মিলাই ডাকলে কেন?         মায়াবী সুরলায় হাটঁলে কেন?          আলতা পায়ে মাখলে কেন?          সুবাস গায়ে পড়লে কেন?         বেলি কোপাই আসলে কেন?         নির্জন ভাবনায়

বিবর্ন_বানী

 #বিবর্ন_বানী মোহাম্মদ মুছা ধৈর্যের ফল সুমধুর  সেই আশায় আজো বিভোর,  সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে সৎ সঙ্গ নুয়েছি ঘাসে,  সুখে থাকলে নাকি ভূতে কিলায় দুঃখের মাঝে ও পড়েছি এই কোন পাল্লায়? সস্তার তিন অবস্থা  দামে কিনেও লাভ কেবল খালি বস্তা,  হাগা কুকুরের বাঘা নাম এই সমাজে তাদেরই বেশি দাম ; নাচঁতে না জানলে উঠান বাকাঁ মামার জোর থাকলে তারে আর কে টেকা, সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষ করেনা আমার বেলায় দুঃখ স্রোত তীর ছাড়েনা,  ঢ়েকিঁ নাকি স্বর্গেও ধান ভাঙ্গে সেও রাখেনি কথা আমার সঙ্গে,  খালি কলসি বেশি বাজে ভরা কলসী আসল কোন কাজে?  নিচক এই সব কথার কথা আমায় করে বিব্রত অযথা,

অজ্ঞ রাজনীতির বিজ্ঞ মাঠকর্মী

 অজ্ঞ রাজনীতির বিজ্ঞ মাঠকর্মী         মোহাম্মদ মুছা  আমি অবাক হয়নি কিংবা হতবাক ও না যখন তারা হাসিনা এ ডটার টেল নিয়ে প্রশ্ন তুলে !  তারাতো মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলে !  জয় বাংলা না বলে জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে জাতির জনকের হত্যার দিনে শুভ জন্মদিন পালন করে!  স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে মিথ্যার আশ্রয়ে একজন মেজরকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে!  ইতিহাসের জগন্যতম হত্যা ১৫ই আগষ্টের খুনিদের নিরাপদ নিবাস নিশ্চিত করে !  দীর্ঘ ২১ বৎসর ৭ ই মার্চের ভাষন বন্ধ করে রেখে ইতিহাস বিকৃত করেছিল !  ২১ শে আগস্ট বোমা মেরে বাংলার বুকে হত্যার রাজনীতি ইতিহাস উজ্বল করেছিল !  তাতে আবার জজ্ মিয়া নাটক এটে দেশবাসীর সাথে প্রতারনা করেছিল !  আমি অবাক হবোনা হতবাক ও না  যদি আরেকটি বিবর্ন আগষ্ট ফিরিয়ে আনে !  তারা পারে জনগনকে বোকা বানাতে প্রতারনার মঞ্চে এক হয়ে !  তারা পারে কাধেঁ মিথ্যার থলে ঝুলিয়ে গনতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের নামে রাজপতে অগ্নি সন্ত্রাস করতে !  তারা পারে ঠাকুর মার ঝুলি থেকে একে একে গল্প বের করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র আটতে !  তারা প...