Posts

ছুঁয়ে একটু দিলাম

 ছুঁয়ে একটু দিলাম  মোহাম্মদ মুছা  পৃথিবীটা নিস্তব্ধ ঘুমিয়ে আছে শহর নির্জনতায় পাশ কেটেছে প্রেম কুয়াশার বহর, চাঁদটা বুকে নেমে এলো ছুঁয়ে একটু দিলাম  আমার মাঝে আমিতো নাই হারিয়েতো গেলাম! রাত হেসেছে বাঁধ ভেঙেছে তোমার আমার তফাৎ, এতো কাছে এসেছিলে মন পুড়ছে নিখাদ! আবার কবে মরুর বুকে জলে বইবে স্রোত বুকের মাঝে জড়িয়ে নিবো, নিবো প্রতিশোধ,,

শিহরন জাগে

 শিহরন জাগে মোহাম্মদ মুছা  প্রেম আছে বলে তুমি এতো সুন্দর  ভালবাসার লাগিয়া তুমি প্রেম-প্রিয়সী, তাইতো বুঝি কাঁদে আজি অন্তর  হলো না কেন ভালোবাসা-বাসি? অনুভূতি আছে বলে শিহরন জাগে ছুঁতে তোমায় মন করে উচাটন, দূরে তুমি ভাবতে বিচলিত লাগে সয়ে থাকা যায় বলো কতক্ষণ?  প্রেম আছে বলে জাগ্রত স্মৃতির পাতায় সেই স্মৃতির আজ কেবল কাঁদায়, জীবনের হিসাব গেলো আজ বৃথাই আঁধারে আলো মিশে গেলো বিষন্নতায়!

চেতনা আমার লুট হয়েছে

 চেতনা আমার লুট হয়েছে  মোহাম্মদ মুছা চেতনা আমার উইপোকা খাই মন্দ লোকের আনাগোনায়  সত্যের কোথাও ঠাঁই আজি নাই,  সমাজ জিম্মি চাটুকারিতায়, চেতনা আমার গুনে ধরেছে শ্যাওলা জমেছে ভাবনায় অঙ্গিকার আমার হেলছে দোলছে এই কোন পরিত্যাক্ত আঙ্গিনায়?  নীতির দন্ড খন্ড খন্ড  আক্কেল গুমোড় আঘাতে  মানব বিবেক লন্ড-ভন্ড আপন শিরটা নোয়াতে!  শষ্য ক্ষেতে ভূত নেমেছে লাভ হবে কি কাকতাড়ুয়ায়? চেতনা আমার লুট হয়েছে  কাটমোল্লা-দের ফতোয়ায়! চেতনা আমার জম ধরেছে সম্প্রীতি আজ নির্বাসনে মৌলবাদরা জোট বেঁধেছে  মন ভেঙ্গেছে প্রহসনে ।

সর্বনাশ

 সর্বনাশ মোহাম্মদ মুছা দালান কোটার চিপায় গলি ইট পাথরের রঙ্গিন তুলি, কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ, কোথায় গেলো সরষের অলি খোঁজে না পায় পাকপাকালি এই শহরই করলো সবি গ্রাস হলো সর্বনাশ।  সবুজ শ্যামল কত কোমল রাত পোহালেই হতাম বিমল কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ,  কোথায় গেলো জোনাকির দল  সবুজ বাতির আঁধার ঝলমল এই শহরই করলো সবি গ্রাস হলো সর্বনাশ।  গায় না মাঝি জারি সারি নদীর বুকে বায়না তরী কবির ছন্দে হলো সর্বনাশ, পানকৌড়িদেট ডুব গেলো কই রোদ্র ঝলকের জলের অথৈই এই শহরই করলো সবি গ্রাস  হলো সর্বনাশ।  কাব্যগ্রন্থঃ-দ্রোহের আগুন  প্রকাশ কালঃ- অমর একুশে বই মেলা,২০২০

রহস্যের আজব কারিগর

 রহস্যের আজব কারিগর  মোহাম্মদ মুছা  মানুষ রহস্যের আজব কারিগর  কেহ বাঁধে ঘর আবার কেহ যাযাবর, গড়ে তোলে তাজমহল প্রেমের ঘোরে  নির্বাসনে যাই কেহ বিরহ বিভোরে, আকাশে উড়ে বেড়াই দিগন্তের সন্ধানে  ফুল ফুটাই গড়ে বাগান প্রস্তর উদ্যানে, অথৈই জলে ভাসে বৈটা হাতে তরী প্রকৃতির বুক ছিঁড়ে সমতল করে গিরি, অচিনকে সুচিন করে মাটি করে উর্বর  আবার কেহ উজাড় করে হয়ে বর্বর, যদিওবা হরেক ভাষা হরেক রকম জাত তবুও মানুষ সৃষ্টির সেরা আশরাফুল মাকলুকাত।

স্বপ্নের বিনাশ

 স্বপ্নের বিনাশ মোহাম্মদ মুছা  নিঝুম রাতে বসে মেলায়,জীবনের হিসাব নিকাশ কার লাগিয়া হলো বুঝি সপ্নগুলোর বিনাশ, কে হেরেছে কে জিতছে কার হয়েছে ছারখার  অথৈই জলে ভেসে ভেসে কে হয়েছে কূল পাড়?  দুজন যদি একই মাটির গড়া, একই বিধাতার  তফাত কেন তবু বলো জীবন নদীর পারাপার!  আমার আছে যেটুকু দায় কাঁধে তুলে নিলাম তোমার বেলায় আমি সবি, বাদ'ই না হয় দিলাম, তুমি থাকো মহাসুখে আমার এইতো চাওয়া  ভুলে যেতে চাইবো আমি ভালোবাসার মায়া, আমি আজি বিদায় নিলাম কেবল শুন্য হাতে চাঁদ হয়ে আর আসিও না, জোৎসনা ভরা রাতে।

দ্রোহের আগুন

 দ্রোহের আগুন  মোহাম্মদ মুছা  দ্রোহের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে নিঃস্ব হয়েছি পোড়েছে দেহ,পোড়েছে মন,পোড়েছে আরো কত কি? আশার আলো দগ্ধ হয়ে স্বপ্ন পোড়ে ধোঁয়া হলো  শূন্য আকাশে উড়িতে উড়িতে মেঘের রুপ নিলো, আকাশ বলে - আমি দ্রোহি বজ্রতে বুক কাঁপায়  বাতাস ও তাই বলে ভাই প্রবল বেগে সবি উড়াই,  নদী  - বলে আমি দ্রোহি তরঙ্গে কূল ভাঙ্গায় পাহাড় বলে আমি কিসের কম, এসে দেখ চূড়ায়।  বৃষ্টি বলে - আমি দ্রোহি মেঘের মুক্তি চাই.....  রুদ্র ঝলমল রংধনু বাহারি রঙে আকাশ রাঙায়,  চারিদিকে এতো দ্রোহ বসে থাকা কি ঘরে যায়?  দ্রোহের জগত বেছে নিলাম এই তো আমার দায়  দ্রোহের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে নিঃস্ব হয়েছি  জ্বলন্ত লাভা তবুও পোড়ায়,জ্বলতে বাকি রইলো কি?  কাব্যগ্রন্থ - দ্রোহের আগুন প্রকাশ কাল - ২০২০,অমর একুশে বই মেলা

চাঁদটা দিবো ছুঁয়ে

 চাঁদটা দিবো ছুঁয়ে  মোহাম্মদ মুছা  চেনা পথে অচিন হয়ে  এখন আমি বৈরাগী, রঙ্গিন জীবন পানশে হলো রাতের সাথেই মিতালি, বনফুলের স্নিগ্ধ সুবাস যখন   তপ্ত হাওয়ায় ভাসে মনটা আমার উদাস এখন ক্ষিপ্ত; অনল রোষে, উদাসী মন চাই যে এমন "নদী যখন থেমে গেলো  পাহাড় পড়ুক নুয়ে  আকাশটা আজ ভেঙ্গে পড়ুক চাঁদটা দেবো ছুঁয়ে"

শখের নদী

 শখের নদী  মোহাম্মদ মুছা আমার কেয়ায় পাল উড়েনা বাতাসে নাই গতি  নদী আমার শুকিয়ে গেছে  খরা আমার সতি, শখের নদী দুঃখ এখন  বৈঠা হাতে কাঁদি কোন মোহনায় স্রোতের বাঁধা মন রাখিলাম বাঁধি, আকাশ গর্জে মেঘও দৌড়ে  বইবে বুঝি জল বেলা গেলো আশায় আশায়  এইটা কেমন ছল !  বুকের মাঝে যে মোহনা  বইতে থাকে ঢল কারো এইটা নয় করুনা  এটা ; আমারই চোখের জল।

বেলকুনি

 বেলকুনি  মোহাম্মদ মুছা  ইট পাথরের শহরে ব্যস্থ মানুষের কোলাহল শুনি ছুটছে সবাই আপন কাজে, থাকি আমি আনমনে সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি , আকাশ দেখি মেঘও দেখি রাত পোহালে চাঁদের আলোয় তারা গুনি এই পাশ ছুটি ও পাশ ছুটি বেহুলা বেঁধে রাখি সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি ,  পাহাড় চূড়ায় রোদ্র ঝলক দেখতে লাগে পরশ মনি মন ছুটে যা ঐ যে চূড়ায় মন চাইলে কি যায় তা ছোঁয়ায়, সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  শীত সকালপ আঁচল বিছায়, ভেজা চুলে কোপা খুলে, শীতল প্রানে মৃদু রোদ্রে তপ্ত লাগায়,  সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  অলস দুপুর করে ব্যকুল বসন্ত যখন পাশ কেটে যায়, কালো কোকিল সুর তোলে যায় কৃঞ্চকলির নয়ন জুড়ায় সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  শ্রাবন মেঘে বাদল ছুটে,তোড়ায় তোড়ায় কদম ফুটে , ভেজা শালিক মন হতে চায়,দুহাত মেলে জল ছুঁতে চায় সঙ্গী তখন লোহার কপাট বেলকুনি,  উদাসী মন ক্ষিপ্ত যখন কেউ থাকেনা সঙ্গী তখন বেলকুনিটা লোহার কপাট ভুলেতো যাই এ মন !

স্মৃতিতে অম্লান

 স্মৃতিতে অম্লান  মোহাম্মদ মুছা  তিমির পোহাতেই নিস্তব্ধতা ঘ্রাস করে নিলো স্বাধীন বাংলার মাটি,  আকাশে,বাতাসে বারুদের গন্ধ, কি জানি কি জানান দিচ্ছিলো, ঘাতকের বুলেট পিতার বুক ভেদ করে মেজেতে পড়েছিলো, অতঃপর হিমালয় ধসে পড়েছে ; আক্ষেপে  মৃত্তিকার  বুক ফাটে,পত্র-পল্লব স্থির,            থেমে গেলো নদীর স্রোত সাগরের ঢেউ,  সেই দিন জাগেনি পাখপাখালি ; গুনে ধরা বিকৃত মস্তিষ্কের অমানুষ গুলো                   কলংকের কালিমার দাগ লেপে দিলো বাঙ্গালী জাতির অবয়বে, মৃত্যু হলো স্বপ্নের, সোনার বাংলা গেলো নির্বাসনে,   অদ্ভুত জাতি আমরা মীর জাফরের মনসনদে নিকৃষ্ট লুলোপ দৃষ্টি পলাশীর প্রান্তর পেরিয়ে               ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে ছুঁয়েছে, আরো একটি কালো অধ্যায়! কাপুরষ, ঘাতক, আর মীর জাফর যাই বলিনা কেন ওরা তারাই, ওরা অপশক্তি, যাদের নীল ষড়যন্ত্র ভেদ করে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অর্জিত হলো আজকের এই লাল- সবুজের পতাকা, এখানেই তারা পরাজিত আর প্রতিশোধের বলী...

বিলাসী তোমার মন

 #বিলাসী তোমার মন    মোহাম্মদ মুছা  এক রাজ্যে যাচ্ছো তুমি, আমায় কেবল শাসিয়ে  অন্য রাজ্যে আকঁছি তোমায়,মনের মাধুরী মিশিয়ে,   আমার রাজ্য আঁধার যখন তোমার রাজ্যে ভোর আমি শুনি ঝিঁঝি ডাকে তুমি শুনো স্নিগ্ধ কোমল সুর, তোমার রাজ্যে অলির ছুটাছুটি মধু আহরনে  আমার রাজ্যে ফুল ফোটেনা মৃত্তিকার বিকিরণে, তোমার রাজ্যে কেয়া ভাসে ভরা জলে থৈথৈ  আমার চারপাশ মরুভূমি এতো জল গেল কই? তোমার রাজ্যে চাঁদ হাসে নিশিতে জোৎসার ঢল, আমার বেলায় নিশ্প্রভ সবি আখির কোনে জল, তুমিতো হাসবে, দোলবে বিলাসী তোমার মন  সস্তা আমার অনুভূতি জাগাবে তোমায় কেমন!  আমি তুমি এতো তফাত কি দিয়ে তা গোচায় মনটা আমার বন্দি তাইতো নিয়ম-নীতির খাঁচায় ;

ভাবনা শত জটিল হলেও

ভাবনা শত জটিল হলেও মোহাম্মদ মুছা #বুকের ভিতর খাদঁ হয়েছে রাতটা অনেক গভীর হলেও চোখ দুটো ঠিক তীর রয়েছে, বুকে শত স্বপ্নের আনাগোনা রাতের বেলা হতাশ হলেও ভোরের আলো করবে আনমনা?  একা একা আকাঁ বাকাঁ ভাবনা শত জটিল হলেও সেই পথের ধুর হল দেখা, যে পথে মোর আমি বিভোর শত বাধাঁ কাটাঁ হলেও আধাঁর রবে; হবেনা কি ভোর ?

দগ্ধ হৃদয়

#দগ্ধ হৃদয় মোহাম্মদ মুছা স্বপ্ন আমার পাহাড় সম এই জগতে আমি এক অধম, হৃদয়তে ভালবাসার ছড়াছড়ি একটু না হয় তা বাড়াবাড়ি তাই বলে তুই হায় ভাবলি কয়লার ছাই!  বাতাসে তা উড়িয়ে দিবি মন যা চায় তা ভেবে নিবি? মনটা আমার কেঁদে বলে জ্বলবিরে তুই প্রেম অনলে,  না ; না, তা নয় অভিশাপ  দগ্ধ হৃদয় কেমন রয় নিরুত্তাপ

খোঁজ আমায় খোঁজ

#খোঁজ আমায় খোঁজ  মোহাম্মদ মুছা  থাক, ঐটুকুতে থাক  যেখান থেকে স্বপ্ন আমায় "জাগো" বলে দিলো ডাক ; থাক, ঐটুকুতে থাক  ‌সত্যি বলছি  একটুখানি করিনিতো রাগ,  রাখ,ঐইখানেতে রাখ আমায় নিয়ে ভাবনা যত,  মনের মাঝে লুকানো ক্ষত মেঘের আড়ালে রাখ,  ভালোবাসা শুয়ার হবে খুঁজে আমায় কে বা দিবে?  ঐ আশাতে থাক;ঐ আশাতে থাক আমি এখন অন্য ভবে বসত গড়েছি এইতো ভেবে চাঁদ;তারা সব চিবিয়ে খাবো আকাশ; হাতের মুঠোয় নিবো!  তুমি যা চাও সবি দিবো শিশির কনায় পদ্মায় ঝুলবো,  আধাঁর আলো তফাৎ বুঝে নিবে কি আমায় ; তুমি খুঁজে ?  তাইতো আমি এখন অচিন  উত্তর,দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম  দিক পাল্টে যায় রোজ খোঁজ আমায় খোঁজ,

শেষ বেলাতে

#শেষ বেলাতে মোহাম্মদ মুছা  আমি আর স্বপ্ন বসত যোজন দূরে ছাল খানা ফোটো তাই জোছনা উকিঁ দেয় ঘরে, হাসিটা তোর ছিল, অনুভব আমার দায় তাই কাঁদে নিলাম একান্ত আপনার; ঝড়-তুফান, সুনামি-সিড়র ভাঙ্গেনি ঘর তুমি তোমার অহমিকায় লন্ড-ভন্ড আমার অন্তর; ঘর পর দরে দর আপন কারাগার ভালো লাগাতে ভালোবাসাতে সব চারকার আমি যদি ভূল ; তোমায় চাওয়াতে গোধুলির কেন সংজ্ঞা শেষ বেলাতে  ভালো থাকার মিছিলে আছি ছদ্মবেশে বিষাক্ত নীল বেদনা দেখেনা কেহ আবৃত খোলসে,

মনটা কেন বুকে

মনটা কেন বুকে #মোহাম্মদ মুছা  তোমার কি অনুভূতি নাইকো আমার জানা  তোমায় একটু ছুঁয়ে দিতে মন ধরেছে বায়না, মনটাকে কি আর লাগাম ধরার যায় কখন কিযে চেয়ে বসে আগাম বুঝা দায়! মনকে বলি আমি মানুষ সমাজেতে বাস যেন তেন বায়না ধরে করিসনা মোর সর্বনাশ, মনটা আমার অকাল মুন্ডু সমাজ নাহি মানে সব বুলিয়ে আমায় কেবল তোমার পানে টানে, আমার আমি কেমনে থাকি মনটাকে বেঁধে রেখে?  মনটা কেন সৃষ্টিকর্তা দিলো দেহের বুকে,

এক মতবাদ

এক মতবাদ                    মোহাম্মদ মুছা  আখির কোণে জলের জমাট রূদ্রর কাছে শুকিয়ে নিবো, একলা একা পাহাড় চুড়ায়  যাতনা সব ছিটিয়ে দিবো, ভাবনা যত শত শত লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে নিবো, আমার আমি যত দামী আকাঙ্খা সব ছিবিয়ে খাবো, সুখে নাকি দূঃখে আছি দুইয়ের মাঝে তফাৎ গড়ে কাদঁবো কেন মিছেমিছি ? কারো কত আশার বানী ধুয়ে মুছে বুকের গ্লানি,  দাঁড়িয়েছি স্রোতের প্রতিকূলে রুখেছি  ঢেউ শক্ত মনোবলে,  ধনী গরীব ভাঙ্গবো তফাৎ  করবো বিলীন ঘাত-প্রতিঘাত,  গড়বো সুখের বিশাল প্রসাদ  সাদা কালো এক মতবাদ,  মানুষ মোরা মানব হবো গাইবো সুরে মানবতায় জিন্দাবাদ।  "ঘোর কাটিলো ; আলোর দেখা পেতেই আপন গায়ে চিমটি কেটে বুঝলাম,এবং ভ্রুক্ষেপে ভাবিলাম নিশিতে কি আবোল তাবোল ভাবলাম" "জঠিল কঠিন এই ভুবনে কি আসে যায় মোর স্বপ্নে!,,

শেষ বেলাতে

শেষ বেলাতে মোহাম্মদ মুছা  আমি আর স্বপ্ন বসত যোজন দূরে ছাল খানা ফোটো তাই জোছনা উকিঁ দেয় ঘরে, হাসিটা তোর ছিল, অনুভব আমার দায় তাই কাঁদে নিলাম একান্ত আপনার; ঝড়-তুফান, সুনামি-সিড়র ভাঙ্গেনি ঘর তুমি তোমার অহমিকায় লন্ড-ভন্ড আমার অন্তর; ঘর পর দরে দর আপন কারাগার ভালো লাগাতে ভালোবাসাতে সব চারকার আমি যদি ভূল ; তোমায় চাওয়াতে গোধুলির কেন সংজ্ঞা শেষ বেলাতে  ভালো থাকার মিছিলে আছি ছদ্মবেশে বিষাক্ত নীল বেদনা দেখেনা কেহ আবৃত খোলসে,

হাবুডুবু খাই!

#হাবুডুবু খাই!  মোহাম্মদ মুছা গাঁ গেরামের বর্নচোরা  রাজনীতিতে শের আলী  টাক লাগিয়ে রক্তচুষে মুখে শত নীতির বুলি, আমজনতার গাড়ে চেপে ফেঁপে ফুলাই নাড়িভুড়ি  যা পাঁচে পায় সব গিলে খাই বাদ যায়না ভাই খানা খড়ি, চষে বেড়ায় এপার ওপার  সবার নাকের ডগায় অনেকে আবার চুপটি থাকে বেচা-কেনা টাকায়, কোন একটা রাঘববোয়াল আটকা পড়লে জালে তবে রে ভাই টনক নড়ে সুর মেলায় সব তালে, কে বানাইলো এমন নেতা দিনকে করে রাত, তখন সবাই সাধু সেজে তুলে আনে জাত,  মেধাবীরা সুশীল বনে করে কেবল বকবক গাঁ ঝাড়ে না কোন কাজে কথাতেই সব জাল-টক, দেশ চলে যায় রসাতলে করতে থাকে বিশ্লেষণ  সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় নেতার থেকে ভর-পোষণ, এই হলো তো বাস্তবতা নেতা-সুশীল মাসতুত ভাই তাই মোরা পঁচা ডোবায়  সাঁতার কেটে যায়, হাবুডুবু খাই! https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2700912296900614&id=100009456104541

বারো মাস

 #বারো মাস  মোহাম্মদ মুছা শুষ্ক ছিলো দেহ মন শুষ্ক ছিলো আশা,  বৈশাখ ছিল যেমন তেমন জৈষ্ঠ্য করিল নিরাশা; আষাঢ় মাসে স্বপ্ন বোপন শ্রাবন ঢলে ভাসে দুঃখ আমার পিছন নিলো ভাদ্র দেখে হাসে ; আশ্বিনেতে সবুজ শ্যামল কার্তিকে রুপালি রুপ,  তৃষ্ণা আমার পিপাস হলো অগ্রাহনে শিতল ক্ষোভ ; পৌষ বাতাসে কুয়াশার ঢল মাঘে মেঘে দেখা ফাগুন এলো আগুন ঝরে চৈতন্যতে হলো ফাঁকা,  এই হলো মোর বারো মাস পুড়া কপাল হাসে দুঃখ আমার এমন কেন?  বারো- ই - মাসে!

বসুধার বুকে

বসুধার বুকে  মোহাম্মদ মুছা  আতঙ্কে ভরা কাটছে দিন ভাবনা গুলো রোজ ছুটছে অরন্যের গহিন, রাত যায় দিন যায় মৃত্যুর মিছিল দেখে বিশ্ব ধুঁকছে হতাশায়, শক্তি পরাশক্তি সবি কপোকাত  রুখিতে পারেনি কেহ আজো প্রকৃতির আঘাত, আশার আলো ক্ষীণ হয়ে দিন দিন প্রতিদিন কাতর মানুষ মৃত্যুর ভয়ে, এমন বিভীষিকায় জাগ্রত মানবতা করিবো জয় হবে সূর্যদ্বয় সহায় হোক বিধাতা, দূরে থেকে কাছাকাছি একে অন্যের পাশাপাশি, দেশ বাঁচলে নিজে বাঁচি  বিশ্বাসে আজো আছি, এই মহামারী দিবো রুখে  হাসিবো মোরা আবারো এই বসুধার বুকে,

ভালোই আছি!

#ভালোই আছি,  যদিও বা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ধূলো আর ধূলো,  চাইলে কি আর এতো ধূলো খাওয়া যায় !  তাই ধূলোর চাদঁর গায়ে জড়িয়ে, এইতো ফিরলাম মাত্র ; আর গলগলা করে একটা আস্ত বড় কলা গিলে খেলাম,  কন্ঠ নালীতে কোথাও যেন ধূলাে জমে না থাকে ; তবুও বলি ভালই তো আছি ; যদিও বা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়  কষ্ট হলেও, সন্তুষ্ট আছি  আস্ত একটা বড় কলা গিলে খেয়েছি......

তুমিই সর্বনাশী,

তুমিই সর্বনাশী, মোহাম্মদ মুছা  পূবাল হাওয়া ডাকলো যখন, আমায় মধুর সুরে মনটা তখন কারারুদ্ধ, প্রেমের নির্মম কারাগারে,              " পূর্নিমাতে চাঁদ ভেসে যায়              বেলির সুবাস নাক ঘেষে যায়,               কৃষ্ণচুড়া আগুন ঝরায়              কদম ঝুলে তোড়ায় তোড়ায় "                আমি তখন হা-হুতাশায়                 নয়ন জলে বুকটা ভাসায়,                অন্ধকারে ; অগোচরে                 লোকচক্ষুর ; অন্তরালে,                কত বেলা আজ গড়িয়েছে               চাপা আগুনে সব পুড়ছে ,                 কে নিবে তার দায় ?   ও... ললনা দায় এড়োনা, তুমিই সর্বনাশী প্রেম ভুব...

ক্লান্ত হয়েছি সেই কবে

ক্লান্ত হয়েছি সেই কবে মোহাম্মদ মুছা  প্রহর গুনি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি ক্লান্ত হয়েছি সে কবে ; প্রান্ত আর পথিক এক নয় জানি তবুও দুটো একে অন্যর,  দিনটি কেমন ছিলো জানা নেই তবে রাতটা গুটগুটে অন্ধকার ভেবেছিলাম ঘোরে কাটিয়ে দিবো; সেটি আর হলো কয় ? অতীত আর বর্তমান ব্যপক তপাৎ না ; আমি করিনি  সবিইতো ভাগ্যের লিখন  এইটি এখন শেষ সম্বল ,  ভাবনাটা না বড় বেঈমান শেষটা নিয়েও টানাটানি,  কাঁদায়, জলে ভাসাই নয়ন

তোমারই অপেক্ষায়

তোমারই অপেক্ষায়  মোহাম্মদ মুছা  বসন্ত এসেছিলো ; ফুটেছিলো ফুল  আগুনের শিখায় নয়, কৃষ্ণচূড়ায় ঝলসেছে হৃদয় তুমুল ,  বর্ষা এসেছিলো ; আকাশ ভরা মেঘ  কদম, কেয়া ফুটেছে কতো  হিজল লতায় ঝুলেছে আবেগ,  শরৎ ও এসেছিলো ; হেসেছিলো কাশবন শান্ত বিকেলে হিমেল হাওয়া  উদাসী করেছে এই মন, প্রকৃতির ছদ্মবেশে  ছুঁয়েছো তুমি আমায় বারবার  ব্যর্থ আমি পায়নি নাগাল তোমার পৃথিবী ঘুরছে তার নিজ অক্ষে নিজ সীমারেখায়,  আমি আজো আছি তীর কেবল  তোমারিই অপেক্ষায়!

বিপ্লবী হয়ে উঠিনি

বিপ্লবী হয়ে উঠিনি ; মোহাম্মদ মুছা  আমার স্বপ্ন পাখিটার ডানা মেলেছে,  উড়তে শিখেছে,  এটাতো সুখবর তাই না!  কিন্তু আমাকে অস্থির করেছে  দুর্ভাবনায়,  সেই তো সীমানা জানেনা,  এই সীমাহীন আকাশটাতো একা আমার না,  তাকে কি করে তা বুঝায়?  ভাবলাম ডানাটা কেটেই দিই,  কে পোহাবে এতো ঝঞ্জাট,  যেখানে আমি ক্ষত-বিক্ষত, অতীতের শোষনে।              যার কোন মুরোদ নেই সেই ও শাসিয়ে গেলো         রক্তচক্ষু দেখিয়ে বলিল ঘুমটাই কেড়ে নিবো,  অথচ তার কোন অধিকার ছিলোনা  আমাকে যাঁতাকলে পিষ্ট করার, সেই তাও করেছে,  আমি মেনে নিতে পারিনি;  অনধিকার চর্চা বলে আহুত করেছে,  তাও মেনে নিতে পারিনি,  কারন ; অনুভূতি আমার, শিহরন আমার, কেবল হাসিটা তার মুগ্ধতা চাইলে জাগানো যায় না, জেগে যায় অজান্তে, অভাবাত্মকে,  তাই মেনে নিতে পারিনি,  হ্যাঁ ;আমি সেই  অপ্সরীর  কথা বলছি যে ভূমন্ডলের সীমানার আমার পাওয়াটুকু অবরুদ্ধ করে রেখেছে, গ্রাস করেছে তার দখলে সংকুচিত করেছে আমার বিচরন,  তবুও ...