Posts

মহা সংকেত

 মহা সংকেত  মোহাম্মদ মুছা  রক্ত জমাট মেঘ নীল আকাশের সীমান্ত জুড়ে  ক্ষুব্ধ বাতাসের গতিবেগ তান্ডবে মেতেছে  মহাপ্রলয়ের বার্তা পল্লবে পল্লবে দুলছে, ভোরের পাখির ডাক জাগ্রতরাই শুনে, আঁধার কাটবে এইতো আঁধার কেটেছে বলে যৌবনের বসন্ত বিদায়ের সাক্ষী হয়ে লাভ কি বলো? কৃষ্ণচূড়া মতো রাঙিয়ে দাও রক্তের দাগ শুনানোর আগেই, এসো নওজোয়ান আঘাত হানি বর্গিদের দূর্গে, যুগে যুগে আমরাই জিতি আমরাই জিতবো আমারই সেনা আমরাই তরবারি আমরাই ঢাল, আমরাই রণকোঠার আমারই বর্শা আমরাই তীর-ধনুক, এসো বীর,তুচ্ছ'তো নয় তোমার রক্তের তাপাদাহ যুগে যুগে আমরাই জিতি আমরাই জিতবো। রক্ত জমাট মেঘ নীল আকাশের সীমান্ত জুড়ে  ক্ষুব্ধ বাতাসের গতিবেগ তান্ডবে মেতেছে  মহাপ্রলয়ের বার্তা পল্লবে পল্লবে দুলছে, ভোরের পাখির ডাক জাগ্রতরাই শুনে, আঁধার কাটবে এইতো আঁধার কেটেছে বলে যৌবনের বসন্ত বিদায়ের সাক্ষী হয়ে লাভ কি বলো? কৃষ্ণচূড়া মতো রাঙিয়ে দাও রক্তের দাগ শুনানোর আগেই, এসো নওজোয়ান আঘাত হানি বর্গিদের দূর্গে, যুগে যুগে আমরাই জিতি আমরাই জিতবো আমারই সেনা আমরাই তরবারি আমরাই ঢাল, আমরাই রণকোঠার আমারই বর্শা আমরাই তীর-ধনুক, এসো বীর,তু...

বিকৃত কাব্য

 বিকৃত কাব্য মোহাম্মদ মুছা  আকাশ যদি চিরকাল মেঘাচ্ছন্ন থাকতো তাহলে আমার হৃদয়কে তুমি আকাশ বলে চিনতে, নক্ষত্র আর ধুমকেতু রোজই ছুঁয়ে ছুঁয়ে বিহ্বল হতে আলোকরশ্মির তীব্রতায় অনুভবে ঝলসে যেতে, চাঁদের জোছনাও থাকতো সর্বদা দৃষ্টির গোচরে, পুরো আলোকবর্ষ জুড়ে মেঘের ঘনঘটা তাই বজ্রপাত ক্ষনিকের জন্যও ক্লান্ত হয়না, হৃদয় কাঁপায় অবিরত, মহাকাশের মতো কৃষ্ণগহ্বরও আছে এই হৃদয়ে বিষুবরেখা অতিক্রম করো না লিপ্সু নক্ষত্রের মতো, আচ্ছা বলোতো; যদি একটা চাঁদ বুকে পাঁজরে এসে পড়ে ভাবনা গুলো কি ভূল?

মায়ার মাশুল

 মায়ার মাশুল মোহাম্মদ মুছা  বেলা যাক গড়িয়ে ঘুমন্ত শহরে আঁধারে আচ্ছন্ন শেষ প্রহরে, হুতোম প্যাঁচা দেখলে দেখুক উঁকিয়ে ডাহুকের ডাক যাক বিকিয়ে,   প্রসাদের প্রহরি হেলে পড়ুক চেয়ারে কাঁটাতারের দেয়াল টপকে চুপিসারে ঘুমন্ত তোমাকে আনিবো লুটিয়ে সাধ্যকার আর নিবে তোমায় চিনিয়ে?

কাব্য প্রেমে কথা

 কাব্য প্রেমের কথা মোহাম্মদ মুছা  রবিঠাকুর গীতাঞ্জলির প্রান ভরেছে মোহে অগ্নিবীণা নজরুলের পাল ছিঁড়েছে দ্রোহে মহান কবি কায়কোবাদের আযান মহাসত্ত্ব  আবার আসিবো ফিরে জীবনানন্দ করেছে'তো মত্ত, স্বাধীনতা তুমি শামসুর রহমানের জাগরনের ডাক নির্মলন্দগুনের হুলিয়া  জুগিয়েছে মনের খোরাক, সোনার তরী আল মাহমুদ জাগিয়াছে বারংবার মহাকবি আলাওল পদ্মাবতী মন করেছে চুরমার, সত্যনাথ দত্তের রম্যরসে কথার ফুলঝুরি  শরৎচন্দ্রের দেবদাস করেছে মনটা চুরি, মন জুড়ানো কাব্য রসদ হাওয়া ধরায় পালে আকাশকুসুম সংস্কৃতি আজ সবি খেলো গিলে!

সাধুর স্বর্গ

 সাধুর স্বর্গ মোহাম্মদ মুছা  সাধু তোমার ভয় নাইকো চার-ছয় বিবি লালনে আমি কেবল থমকে গেছি দেনমোহরের চলনে, নগদানগদ হাজার বিশ'এক টাকায় খায়েস মিটো আমার বেলায় লক্ষ কোটি দেনমোহর'টা ছাটোঁ। বলৎকারে কায়েস তোমার আমি খুঁজি শরিয়াত  তখন তুমি কাম সারিয়ে খোদা বান্ধায় তবিয়ত, প্রেম-পীরিতি হারাম বয়ান সাধু তুমি দাও রজিন থাকায় ছাত্রীর প্রেমে মধু কেন খাও? দাঁড়ি টুপি পাঞ্জাবি টাক-নুর তোমার বিনিয়োগ মজুর-খেটে সারাজীবন পাবো কি স্বর্গ-সুযোগ? তুমি'তো ভাই পথের পাথয় আমি এইসব বুঝি খোদা আমার কোন জগতে ঘুম জাগিয়া খোঁজি!

রূপান্তরে বৈচিত্র্য জীবন

রুপান্তরে বৈচিত্র্য জীবন মোহাম্মদ মুছা তুমি আসবে, তাই বলে ঝিনুকের বুক ছিঁড়ে মুক্তা লুটতে পারেনি, রূদ্র-মেঘের লুকোচুরি প্রান্তর আমায় ডেকেছে পলাশ শিউলির মোহে তপ্ততা সয়েছি অবরুদ্ধ প্রেমে, বর্ষার প্রলুব্ধ মেঘালয় মনোরাজ্য ফাটল ধরাতে পারেনি শ্রাবনের অঝোরে প্রত্যাশার লোভনীয় রিমঝিমে নির্ঘুম নিশি পরাস্ত করেছে বহুবার, তবুও ঘুরে দাঁড়িয়েছি;  ভাদ্রের শুভ্র শুদ্র মেঘ অবিরাম বয়ে চলেছে থামতে বলেনি! কাশফুল পদ্ম শালুক হাতছানি দিয়ে নিরুক্তির উক্তির বাহানা এঁটেছে, তানিয়া(রাজকুমারী) আমায়  রাজ্য বিহীন আসনে নিধিরাম সর্দারে ভূষিত করেছে, রক্তকরবী নির্গন্ধে সুবাসিত আসক্ত করে মাতাল হাওয়াই মাওনা প্রভা দ্বিখণ্ডিত করেছে, আসন্ন কুয়াশার বুকে টেনে নিবে বলে হিমেল অনুভূতি চাদরে মুড়িয়ে নিস্তব্ধ আকাশ ছুয়েছি বাষ্পীয় প্রেমে, তবুও আক্ষেপ মরি ঝিনুকের বুক ছিঁড়ে মুক্তার মালা গলায় পড়েনি বলে, তবুও,  আমি প্রেম ভিখারি!

প্রচ্ছদ বিহীন কাব্য

 প্রচ্ছদ বিহীন কাব্য  মোহাম্মদ মুছা  মোহটা কেটে যাক ক্ষমা চেয়ে নিবো আর যদি নাই-বা কাটে ক্ষমা করে দিও, প্রিয় অন্তরে ক্ষতটা দেখেনি কেহ, তুমিও না আমি'তো দেখেছি স্বয়ং ধৃষ্টতার দ্রোহে, প্রান্তরে ফেলে আসা মোড়ানো স্মৃতি; ফিরেছে আপন গৃহে  আমি আর আমি রইলাম কই! মুলি-দারু বারংবার শূন্যর উপর ভাসায় নগ্ন হৃদয় অগোচরে লজ্জায় কাঁদে, নগ্ন হৃদয় কি জানি কি খোঁজে সহস্রবার লুটে পড়েছি,  এইবার না-হয় ক্ষমা করো, ফিরে আসো মুছে দাও স্মৃতি, প্রেম, অভিলাষ

নিঃসঙ্গ ভাবনা

 নিঃসঙ্গ ভাবনা মোহাম্মদ  মুছা  দু’চোখে ঘুম নেই রাত হলো আজি কাল  এই বুঝি ভোর হলো অপেক্ষায় মন উতাল, দেয়ালেতে ঝুলে আছে আধমরা বেহায়া ঘড়ি উল্টো পথে চলছে যেন তার সাথে মোর আড়ি, চাঁদের সাথে দ্বন্দ্ব কিসের থমকে সে-ও আছে ইচ্ছে করে আকাশ হতে দিতে তারে মুছে, পাখপাখালির ঘুম ভাঙেনা ক্ষোভ জানিনা তাদের তারা-ও কি মুখিয়ে আছে ; তীব্র প্রতিশোধের? ভুলটা আমার মায়ার জালে আটকে কেন গেলাম নীলঞ্জনার ছলনাতে আঁধার খুঁজে নিলাম।

রাজ্য বিনাশ

 রাজ্য বিনাশ  মোহাম্মদ মুছা  পদ্মমধু খেয়ে সাধু বনেছো আজ মহাজন বেল পাকিলে কাকের কি, জানে তাহা সর্বজন, পরের ধনে পোদ্দারি করছো হেসে খেলে পিটের দন্ড আটি হবে আমজনতার কিলে, জিহ্বা দিয়ে লালা ঝরে চেটেপুটে খাইতে বিঁধলে যবে গলায় কাটা পারবে কি'তা সইতে? বন্দী ছিলো খাঁচায় শুকুন শিকল হায়েনার গলে মাশুল তোমায় দিতে হবে যেয়ে নাকো ভুলে, আমজনতার পিট ঠেকেছে পোড়া মাটির দেয়ালে আসবে আঘাত,সব-কটি দাঁত রইবে না তুর চোয়ালে,

জেব্রা ক্রসিং

 জেব্রা ক্রসিং মোহাম্মদ মুছা  এটি যদি আমার শেষ কবিতা হয়  তাহলে লিখে গেলাম- রক্তের বন্যায় ভাসতে থাকা কপালপোড়া মা জননী পৃথিবীর কোন সভ্যতা শতবছর বন্যায় ডুবে থাকেনি, যে বাঁধ ভেঙে নেমেছে ঢল সেই বাঁধে'ই নিম্নগামী জল,

প্লাবনের প্রতিঘাত

 প্লাবনের প্রতিঘাত মোহাম্মদ মুছা  আছে কতো লেনাদেনা জগতের এপার ওপার দিতে হবে পাড়ি মোরে অজানা পথ নির্বিকার, শুধিতে হবে দেনা ; পাওনার হিসাব থাক মহাকালের ডাক আসিবে হিসাব কষে রাখ, ক্ষমা করো সুহৃদ মোরে এমন মন্দা কালে বিষন রকম হৃদয় জখম ফুটু নায়ের পালে, স্রোতে কোলে মনের ভুলে নদ হয়নি পার তাই বলে কি থমকে যাবো ত্রিভুবনে ধার, নায়টা আমার কেঁড়ে নিলো প্লাবনের ঝড়ে দুঃখ আমার সঙ্গী হলো বারো মাসটা জুড়ে, তাতে বুঝি হলো আমার মহাসাগর চেনা নায়ের বদল সাঁতার কেড়ে স্বপ্ন হবে বোনা,

অর্জন বিসর্জনে

 অর্জন বিসর্জনে মোহাম্মদ মুছা  চারিদিকে বিবেক পোড়া বিভৎস কি গন্ধ  আত্মার সাথে সত্ত্বার চরম নিখুঁত দ্বন্দ্ব, রাজাকার এখন চরম ভাবে সেজেছে দেশদরদী  ভেজাল দুধে বানাই রোজই হাড়ি ভর্তি  দধি, দেশ বাংলার স্বাধীনতায় করছিলো যারা বিরোধ চিত্ত হেসে প্রতিশোধে ঘুমটায় করে প্রমোদ, প্রতিশোধের আগুন নেভায় দরুন ছদ্মবেশে তলে তলে চলছে ভেসে জিন্দাবাদই পোষে, রসাতলে যাবে কবে সোনার বাংলা মুর্দাবাদ ঘরে ঘরে জনে জনে বদ ছড়াবে মৌলবাদ, জেগে আছি থাকবো জেগে জয় বাংলার স্লোগানে জয় বাংলার জয় হয়েছে ত্রিশলক্ষ তাজা প্রানে, হয় প্রান নয় ধান কোনটা নিবি কেড়ে অত সহজে যাচ্ছি না'তো সোনার ছেড়ে।  জয় বাংলা,

বিপ্রতীপ

 বিপ্রতীপ মোহাম্মদ মুছা  পাকা ধানে হানা দিলো পঙ্গপালের দল গোলায় ভরা হইলো না আর সোনালি ফসল, কানামাছি ভূ ভূ বর্গী মুচকি হাসে ঘরে ঘরে মঙ্গা হবে রক্ত খাবে চুষে, পঙ্গপালের সেনাপতি মহাজনের নাই'কো জুড়ি  রাক্ষুসে মন শান্ত মশাই আখের গোছায় তড়িঘড়ি,  বন্যা খরা ঝড়-ঝাপটা শত বাঁধা পেরিয়ে  তিলেতিলে গড়া দেশটা বিদ্বেষ দিলো ছড়িয়ে,  জাগো জাগো আমজনতা দেশটা আগে বাচাও থাকতে বেলা ছাড়ো হেলা পঙ্গপালদের তাড়াও।

অন্তর নির্বিকার

 অন্তর নির্বিকার মোহাম্মদ মুছা  স্বপ্নের ঘাড়ে চেপে রাত্রি করি পার প্রভাতে জাগিয়া দেখি অন্তর নির্বিকার, নগর জুড়ে কোলালহল আমি কেবল নিষিদ্ধ  অপরাধের হেতু জানি তাহাতেই আমি প্রলুব্ধ, হৃদয় আমার বাঁধনহারা তারে আজো খুঁজি ভালোবাসি তারে ভিষণ এইতো আমার পুজি, অন্ধকারে বন্দী আমি রুদ্ধ আমার ভুবন যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে সইছি রোজই শোষণ,

বিদায় ঘন্টা

 বিদায় ঘন্টা  মোহাম্মদ মুছা  কুয়ার ব্যাঙ  কুয়ায় লাফায় এতো তাহার জগৎ  বর্ষার জলে ঘরে কোণে  ঘ্যাং ঘ্যাং-ই  কণ্ঠাগত, এইতো গেলো ব্যাঙের গল্প এবার বলি দেশের কথা জারজেরা দল বেঁধেছে  লুন্ঠন করতে একাত্তরের স্বাধীনতা অত সহজ নয়রে জারজ মুখটা লাগাম ধর আমজনতা উঠলে জেগে  মুন্ডু হবে আলাগ ধর, জয় বাংলা ছিলো আগে এখনো তাই আছে লাফালাফি কমাও পিও বিদায় ঘন্টা বাজছে,

প্রত্যার্পন

 প্রত্যার্পন মোহাম্মদ মুছা  কি যেন কি নাই ; আমার এই বুকে হৃদপিণ্ডটা রক্তাক্ত ছিলো, দেখেছি তাহা তবে আলতো করে উপড়ে নিলো, মায়াবী এক আচঁড়ে অনুভবটা মৃত ছিলো এই কেমন হায় খোঁচারে? পিশাচিনী নয় সেই, নয়'তো কোন ডাইনি প্রেম জাগাতে যে এসেছিলো ; সেই মায়াবিনী, বুকে আজো রক্ত ঝরে ক্ষত কেবল বাড়ে হৃদপিণ্ডটা প্রত্যর্পনে ঘুরছি তাহার দ্বারে দ্বারে।

শরতের যাতনা

 শরতের যাতনা মোহাম্মদ মুছা  আমায় যদি নিবৃত্তে রাখতে চাও শরতের কাশফুল তোমার আঁচলে ঢাকো, শুভ্র সাদা মেঘ তোমার পাঁজরে বাঁধো কারন আমি যে উন্মাদ আমি যে বাঁধনহারা, পারবে কি?  নয়তো তুমি ফিরে আসো চলো দুজন শুভ্র সাদা মেঘের শেষ প্রান্তে কাশবনে লুটিয়ে পড়ি, আসবে? যদি বলো না, অতঃপর, আমি আর সইবো না আমি বিপ্লবী হবো অরণ্যে আর গগন বিনাশে।

কাঙ্ক্ষিত এক বিপ্লব

 কাঙ্ক্ষিত এক বিপ্লব, মোহাম্মদ মুছা  বেশ'ত আকাশে দেখি পাখিরা উড়ছে, মেঘ দৌড়ছে বজ্রপাতে মৃত্তিকার বুক কাঁপছে, বাতাসে পঁচা শিউলি, হাসনাহেনা মতো লাশের গন্ধও ভোঁভোঁ করছে মুহুমুহু আত্মচিৎকার অবলীলায় ঘুরছে ধোঁয়াচ্ছন্ন নীল শূন্যেই হামাগুড়ি দিচ্ছে নক্ষত্রের মতো অচেনা চেতনারা ঝিলমিল করছে শুকতার নির্দিষ্ট করা দূরূহ ব্যপার,   উল্কাপিণ্ড মাটি ভেদ করা সময়ের দূরত্ব মাত্র, গ্রহগুলো নির্দিষ্ট দূরত্ব ভুলে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে মহাকালের মহা মানবদের আত্মতুষ্টির বিসর্জন দর্শনে, সত্যি এক মহাবিপ্লব সাদা কাপনে মুড়িয়ে আছে, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডা হাতছানি দিয়ে ডাকছে, সত্যি এক মহাবিপ্লব রক্তে লাল মলাটে মুড়িয়ে আছে,

কদম ফুটেছে

 কদম ফুটেছে  মোহাম্মদ মুছা আকাশ যদি মেঘেলা থাকে  তাতে আমার দায় কী ? কেয়া ফুটেছে কদম ফুটেছে  ঘরে থাকা যায় কি ! মন মেতেছে প্রেম জেগেছে  আমার করার আছে কী ? আষাঢ় শ্রাবন প্রেমের পাবন হাতছানি দেয় রজনি । আকাশ যদি মেঘলা থাকে  তাতে আমার দায় কী ?  মেঘের কোলে হেলেদুলে  মন ছুটেছে, বেঁধে রাখা যায় কী ?

অবসাদ

 অবসাদ  মোহাম্মদ মুছা অবান্তর; অন্তর নিয়ন্ত্রিত অবাধ আঁধারে নির্বোধ, পৃথিবীর মায়া বাড়ায় জগত সংসারে ক্লান্ত; আমি ছুটতে নাহি আর চাই রাজ্য;  করিস না আমায় দায় অনিবার্য, শান্ত সকাল ও তপ্ত দুপুরে গড়াই তেপান্তর; কিসের লাগিয়া এতো বড়াই ভূখন্ড;  নিরাশ আমি কবু নই সীমানা; অবহেলা আমি সবি সই রীতিনীতি; করবো সবি ভেঙে চুরমার অহংকার; তার যত অভিলাষ আমার