Posts

Showing posts from July, 2020

এক মতবাদ

এক মতবাদ                    মোহাম্মদ মুছা  আখির কোণে জলের জমাট রূদ্রর কাছে শুকিয়ে নিবো, একলা একা পাহাড় চুড়ায়  যাতনা সব ছিটিয়ে দিবো, ভাবনা যত শত শত লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে নিবো, আমার আমি যত দামী আকাঙ্খা সব ছিবিয়ে খাবো, সুখে নাকি দূঃখে আছি দুইয়ের মাঝে তফাৎ গড়ে কাদঁবো কেন মিছেমিছি ? কারো কত আশার বানী ধুয়ে মুছে বুকের গ্লানি,  দাঁড়িয়েছি স্রোতের প্রতিকূলে রুখেছি  ঢেউ শক্ত মনোবলে,  ধনী গরীব ভাঙ্গবো তফাৎ  করবো বিলীন ঘাত-প্রতিঘাত,  গড়বো সুখের বিশাল প্রসাদ  সাদা কালো এক মতবাদ,  মানুষ মোরা মানব হবো গাইবো সুরে মানবতায় জিন্দাবাদ।  "ঘোর কাটিলো ; আলোর দেখা পেতেই আপন গায়ে চিমটি কেটে বুঝলাম,এবং ভ্রুক্ষেপে ভাবিলাম নিশিতে কি আবোল তাবোল ভাবলাম" "জঠিল কঠিন এই ভুবনে কি আসে যায় মোর স্বপ্নে!,,

শেষ বেলাতে

শেষ বেলাতে মোহাম্মদ মুছা  আমি আর স্বপ্ন বসত যোজন দূরে ছাল খানা ফোটো তাই জোছনা উকিঁ দেয় ঘরে, হাসিটা তোর ছিল, অনুভব আমার দায় তাই কাঁদে নিলাম একান্ত আপনার; ঝড়-তুফান, সুনামি-সিড়র ভাঙ্গেনি ঘর তুমি তোমার অহমিকায় লন্ড-ভন্ড আমার অন্তর; ঘর পর দরে দর আপন কারাগার ভালো লাগাতে ভালোবাসাতে সব চারকার আমি যদি ভূল ; তোমায় চাওয়াতে গোধুলির কেন সংজ্ঞা শেষ বেলাতে  ভালো থাকার মিছিলে আছি ছদ্মবেশে বিষাক্ত নীল বেদনা দেখেনা কেহ আবৃত খোলসে,

হাবুডুবু খাই!

#হাবুডুবু খাই!  মোহাম্মদ মুছা গাঁ গেরামের বর্নচোরা  রাজনীতিতে শের আলী  টাক লাগিয়ে রক্তচুষে মুখে শত নীতির বুলি, আমজনতার গাড়ে চেপে ফেঁপে ফুলাই নাড়িভুড়ি  যা পাঁচে পায় সব গিলে খাই বাদ যায়না ভাই খানা খড়ি, চষে বেড়ায় এপার ওপার  সবার নাকের ডগায় অনেকে আবার চুপটি থাকে বেচা-কেনা টাকায়, কোন একটা রাঘববোয়াল আটকা পড়লে জালে তবে রে ভাই টনক নড়ে সুর মেলায় সব তালে, কে বানাইলো এমন নেতা দিনকে করে রাত, তখন সবাই সাধু সেজে তুলে আনে জাত,  মেধাবীরা সুশীল বনে করে কেবল বকবক গাঁ ঝাড়ে না কোন কাজে কথাতেই সব জাল-টক, দেশ চলে যায় রসাতলে করতে থাকে বিশ্লেষণ  সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় নেতার থেকে ভর-পোষণ, এই হলো তো বাস্তবতা নেতা-সুশীল মাসতুত ভাই তাই মোরা পঁচা ডোবায়  সাঁতার কেটে যায়, হাবুডুবু খাই! https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2700912296900614&id=100009456104541

বারো মাস

 #বারো মাস  মোহাম্মদ মুছা শুষ্ক ছিলো দেহ মন শুষ্ক ছিলো আশা,  বৈশাখ ছিল যেমন তেমন জৈষ্ঠ্য করিল নিরাশা; আষাঢ় মাসে স্বপ্ন বোপন শ্রাবন ঢলে ভাসে দুঃখ আমার পিছন নিলো ভাদ্র দেখে হাসে ; আশ্বিনেতে সবুজ শ্যামল কার্তিকে রুপালি রুপ,  তৃষ্ণা আমার পিপাস হলো অগ্রাহনে শিতল ক্ষোভ ; পৌষ বাতাসে কুয়াশার ঢল মাঘে মেঘে দেখা ফাগুন এলো আগুন ঝরে চৈতন্যতে হলো ফাঁকা,  এই হলো মোর বারো মাস পুড়া কপাল হাসে দুঃখ আমার এমন কেন?  বারো- ই - মাসে!

বসুধার বুকে

বসুধার বুকে  মোহাম্মদ মুছা  আতঙ্কে ভরা কাটছে দিন ভাবনা গুলো রোজ ছুটছে অরন্যের গহিন, রাত যায় দিন যায় মৃত্যুর মিছিল দেখে বিশ্ব ধুঁকছে হতাশায়, শক্তি পরাশক্তি সবি কপোকাত  রুখিতে পারেনি কেহ আজো প্রকৃতির আঘাত, আশার আলো ক্ষীণ হয়ে দিন দিন প্রতিদিন কাতর মানুষ মৃত্যুর ভয়ে, এমন বিভীষিকায় জাগ্রত মানবতা করিবো জয় হবে সূর্যদ্বয় সহায় হোক বিধাতা, দূরে থেকে কাছাকাছি একে অন্যের পাশাপাশি, দেশ বাঁচলে নিজে বাঁচি  বিশ্বাসে আজো আছি, এই মহামারী দিবো রুখে  হাসিবো মোরা আবারো এই বসুধার বুকে,

ভালোই আছি!

#ভালোই আছি,  যদিও বা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ধূলো আর ধূলো,  চাইলে কি আর এতো ধূলো খাওয়া যায় !  তাই ধূলোর চাদঁর গায়ে জড়িয়ে, এইতো ফিরলাম মাত্র ; আর গলগলা করে একটা আস্ত বড় কলা গিলে খেলাম,  কন্ঠ নালীতে কোথাও যেন ধূলাে জমে না থাকে ; তবুও বলি ভালই তো আছি ; যদিও বা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়  কষ্ট হলেও, সন্তুষ্ট আছি  আস্ত একটা বড় কলা গিলে খেয়েছি......

তুমিই সর্বনাশী,

তুমিই সর্বনাশী, মোহাম্মদ মুছা  পূবাল হাওয়া ডাকলো যখন, আমায় মধুর সুরে মনটা তখন কারারুদ্ধ, প্রেমের নির্মম কারাগারে,              " পূর্নিমাতে চাঁদ ভেসে যায়              বেলির সুবাস নাক ঘেষে যায়,               কৃষ্ণচুড়া আগুন ঝরায়              কদম ঝুলে তোড়ায় তোড়ায় "                আমি তখন হা-হুতাশায়                 নয়ন জলে বুকটা ভাসায়,                অন্ধকারে ; অগোচরে                 লোকচক্ষুর ; অন্তরালে,                কত বেলা আজ গড়িয়েছে               চাপা আগুনে সব পুড়ছে ,                 কে নিবে তার দায় ?   ও... ললনা দায় এড়োনা, তুমিই সর্বনাশী প্রেম ভুব...

ক্লান্ত হয়েছি সেই কবে

ক্লান্ত হয়েছি সেই কবে মোহাম্মদ মুছা  প্রহর গুনি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি ক্লান্ত হয়েছি সে কবে ; প্রান্ত আর পথিক এক নয় জানি তবুও দুটো একে অন্যর,  দিনটি কেমন ছিলো জানা নেই তবে রাতটা গুটগুটে অন্ধকার ভেবেছিলাম ঘোরে কাটিয়ে দিবো; সেটি আর হলো কয় ? অতীত আর বর্তমান ব্যপক তপাৎ না ; আমি করিনি  সবিইতো ভাগ্যের লিখন  এইটি এখন শেষ সম্বল ,  ভাবনাটা না বড় বেঈমান শেষটা নিয়েও টানাটানি,  কাঁদায়, জলে ভাসাই নয়ন

তোমারই অপেক্ষায়

তোমারই অপেক্ষায়  মোহাম্মদ মুছা  বসন্ত এসেছিলো ; ফুটেছিলো ফুল  আগুনের শিখায় নয়, কৃষ্ণচূড়ায় ঝলসেছে হৃদয় তুমুল ,  বর্ষা এসেছিলো ; আকাশ ভরা মেঘ  কদম, কেয়া ফুটেছে কতো  হিজল লতায় ঝুলেছে আবেগ,  শরৎ ও এসেছিলো ; হেসেছিলো কাশবন শান্ত বিকেলে হিমেল হাওয়া  উদাসী করেছে এই মন, প্রকৃতির ছদ্মবেশে  ছুঁয়েছো তুমি আমায় বারবার  ব্যর্থ আমি পায়নি নাগাল তোমার পৃথিবী ঘুরছে তার নিজ অক্ষে নিজ সীমারেখায়,  আমি আজো আছি তীর কেবল  তোমারিই অপেক্ষায়!

বিপ্লবী হয়ে উঠিনি

বিপ্লবী হয়ে উঠিনি ; মোহাম্মদ মুছা  আমার স্বপ্ন পাখিটার ডানা মেলেছে,  উড়তে শিখেছে,  এটাতো সুখবর তাই না!  কিন্তু আমাকে অস্থির করেছে  দুর্ভাবনায়,  সেই তো সীমানা জানেনা,  এই সীমাহীন আকাশটাতো একা আমার না,  তাকে কি করে তা বুঝায়?  ভাবলাম ডানাটা কেটেই দিই,  কে পোহাবে এতো ঝঞ্জাট,  যেখানে আমি ক্ষত-বিক্ষত, অতীতের শোষনে।              যার কোন মুরোদ নেই সেই ও শাসিয়ে গেলো         রক্তচক্ষু দেখিয়ে বলিল ঘুমটাই কেড়ে নিবো,  অথচ তার কোন অধিকার ছিলোনা  আমাকে যাঁতাকলে পিষ্ট করার, সেই তাও করেছে,  আমি মেনে নিতে পারিনি;  অনধিকার চর্চা বলে আহুত করেছে,  তাও মেনে নিতে পারিনি,  কারন ; অনুভূতি আমার, শিহরন আমার, কেবল হাসিটা তার মুগ্ধতা চাইলে জাগানো যায় না, জেগে যায় অজান্তে, অভাবাত্মকে,  তাই মেনে নিতে পারিনি,  হ্যাঁ ;আমি সেই  অপ্সরীর  কথা বলছি যে ভূমন্ডলের সীমানার আমার পাওয়াটুকু অবরুদ্ধ করে রেখেছে, গ্রাস করেছে তার দখলে সংকুচিত করেছে আমার বিচরন,  তবুও ...